কুমিল্লার মুরাদনগরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যও (মেম্বার) রয়েছেন। বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহর চত্বরে সংঘাতের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে হামলার অভিযোগ ওঠার পর এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতদের অধিকাংশই আসিফ মাহমুদ সমর্থকদের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থক। তাদের মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা সদরে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বিকেলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহর চত্বরে এনসিপির নেতারা ও আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় ওই সমাবেশ লক্ষ্য করে পাশের জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ায় এনসিপির অন্তত ১০ সমর্থক আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আহত ইউপি সদস্য শেখর বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহর চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করা হয়।’
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমি নিজেও আহত হই। আমরা পূর্বনির্ধারিত মিছিল নিয়ে আসার পর ইট-পাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া করা হয়।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মুরাদনগর থানার পরির্দশক (তদন্ত) আমিন কাদের খান বলেন, ‘মুরাদনগর সদরে এনসিপি সমর্থকদের সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশেই অবস্থান করা কিছু লোক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’
মন্তব্য করুন