বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির যে সম্পর্ক আল্লাহর সঙ্গে আমার সেই সম্পর্ক। তৌহিদি জনতা হোক আর যেই হোক আর যদি মাজার ভাঙে তাহলে খবর আছে। এ দেশের ইমানদার মানুষ কিন্তু রাস্তায় নামবে। সুন্নিরা এ দেশের রাস্তায় নামবে। সুন্নি ১২ আনা মুসলমান, ওহাবিরা না। সুন্নিরা হলো ঈমানে ইসলাম এবং কলবের মধ্যে ইসলাম। সরকারকে হুঁশিয়ার করছি, আর যদি মাজার ভাঙে খবর আছে বলে দিলাম।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কুতুবশাহী মসজিদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দোয়া ও মিলাদের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ফজলুর রহমান বলেছেন, ৫ আগস্টের পরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং সুফিবাদের ওপর যেভাবে আক্রমণ হচ্ছে, যে সুফিবাদের মাধ্যমে এ দেশে প্রথম ইসলাম এসেছিল, যে ওলি-আউলিয়া, গাউস-কুতুবরা না আসলে বাঙালি জাতি মুসলমান হতো কিনা আজকে বলা বড় দুষ্কর। সেই ওলি-আউলিয়া, গাউস-কুতুবদের নিয়ে অবমাননা চলছে, তাদের মাজার ওহাবিরা ভেঙে দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যদি আমি চুপ করে থাকি, আমার দ্বীনের নবীর সম্মানে যদি কোনো ধরনের প্রতিবাদ না করি, তাহলে আখেরাতে তার শাফায়েত পাব না। আর আল্লাহর হাবিবকে যারা অপমান করেছে তাদের বিরুদ্ধে যদি কথা না বলি আল্লাহ আমার উপর বেজার হবেন। আল্লাহ যার উপর বেজার হবেন সে হল নাফরমান। আল্লাহর এবং নবীর সাফায়েত পাওয়ার জন্য, আল্লাহর রহমত পাওয়ার জন্য আমি মনে করেছি এ দেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতই প্রকৃষ্ট তরিকতের দল।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, আমিও বিশ্বাস করি ওলি-আউলিয়া, গাউস-কুতুবদের আত্মা জীবিত থাকে। কেউ যদি মাজার ভেঙে দিতে চায়, প্রকৃত হাক্কানি মুসলমান যারা, সুন্নি মুসলমান যারা তারা শুধু প্রতিবাদ করবে না প্রতিহতও করবে। রাজবাড়ী ইস্যুতে শুধু একজন মানুষের লাশকে কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, নাউজুবিল্লাহ। যারা এ কাজ করেছে তারা মুসলমান না।
ফজলুর রহমান বলেন, আমি সব মানুষকে, ধর্মকামী মুসলমানদের এসবের প্রতিবাদ না শুধু, আমি তাদের প্রতিরোধ করতে বলি। সরকারকে আমি বলছি, মানুষকে ঘর থেকে বের করে ইমানদার মানুষকে দিয়ে আর এ দেশে ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ লাগাবেন না। এটা বন্ধ করার আহ্বান করছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাঈদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম শাহীন, উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আহ্বায়ক মাওলানা জালাল উদ্দিন আশরাফী ও সদস্য সচিব মাওলানা রেদুওয়ানুল হক আশরাফী।
মন্তব্য করুন