বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষিত মঙ্গলবার ও বুধবারের অর্ধদিবস হরতাল প্রত্যাহার করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। এর পরিবর্তে জেলার সব উপজেলায় ওই দুইদিন অর্ধদিবস নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট আদালত ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা। তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও চলাচলে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য হরতাল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলে যেন কোনো সমস্যা না হয়। তাই হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আগামী দুই দিন অর্ধদিবস নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৪টি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় ৩টি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এর পর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। ৪টি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এর পরও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে ৩টি আসনই জারি রেখে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গণমানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা : বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
মন্তব্য করুন