গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে রাসেলসহ অন্তত ১৫- ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার বোর্ডমিল ঈদগা মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে কালিয়াকৈর বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
জানা গেছে, রেজাউল করিম রাসেল বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠকসহ চা চক্র করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার বোর্ডমিল ঈদগা মাঠ এলাকায় তার সমর্থকদের নিয়ে চা চক্র করতে যায়। এজন্য আগে থেকেই সেখানে চেয়ার টেবিল সাজানো হয়।
রাসেল ঈদগা মাঠ এলাকায় পৌঁছানো মাত্রই কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার সমর্থক কালিয়াকৈর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আজমত হোসেনের নেতৃত্বে এক দেড়শ লোক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এসময় তাকে বাচাতে তার সমর্থকরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, কালিয়াকৈর উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি দুস মোহাম্মদ, মামুন ভুইয়া, আনোয়ার হোসেন, আলেয়া বেগম, সাব্বির হোসেন, হারুন অর রশিদ সিকদার, নওশাদ, আকাশসহ অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অবস্থা খারাপ হওয়ায় দুস মোহাম্মদ, মান্নান ভুইয়া, আনোয়ারে হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল ৫টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলা বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় রেজাউল করিম সমর্থকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। রাসেল বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চা চক্র করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বোর্ডমিল এলাকায় গেলে রফিকুল ইসলাম তুষার সমর্থকরা আমিসহ আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তবে কেন তারা আমার ওপর হামলা করেছে তা বলতে পারতেছিনা।
এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম তুষার বলেন, আমি কিছুই জানিনা। আমি উত্তরার বাসায় ছিলাম। তবে শুনেছি দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ রেখে মিটিং করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলা করেছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না। আমি বা আমার কোনো লোকজন তার ওপর কোনো হামলা করেনি।
কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুরাদ কবির বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার করার বিষয়টি দুঃখজনক। কেন বা কারা হামলা করেছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন