নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের মাংস ও পরনের কাপড় পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে প্রায় তিন মাস আগে নিখোঁজ হওয়া ছাত্রদল নেতা শামীমের লাশ বলে দাবি করছে তার পরিবার।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কঙ্কাল উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক।
এর আগে বিকেলে উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের মনকান্দা গ্রামের বিল থেকে লাশের কঙ্কালসার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনকান্দা গ্রামের আক্কাস মিয়ার ছেলে ও গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শামীম (৩০) গত ৩ জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টায় শামীম নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বের হন। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
নিখোঁজের পরদিন ৪ জুলাই কেন্দুয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্বজনরা। পরে ৫ জুলাই রাতে শামীমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পার্শ্ববর্তী গইচাসিয়া ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। শামীমের কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলেও মোটরসাইকেল উদ্ধারের ঘটনায় এলাকাবাসী ও তার পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ এবং নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। গতকাল বিকেলে মনকান্দা বিলে মাছ ধরতে গিয়ে এক ব্যক্তি কঙ্কালটি দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে কঙ্কালটি উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়।
রফিকুল ইসলাম শামীমের স্ত্রী নাজমা আক্তার বলেন, ‘মাদ্রাসার বিরোধ নিয়ে গ্রামে দুইডা পক্ষ হইছে। এ নিয়া হামলা-মামলা চলতেছিল। প্রায় তিন মাস ধইরা আমার স্বামীর কোনো খোঁজ নাই। তার মোটরসাইকেল ব্রিজের নিচে পানিতে পাওয়া গেছে। নিখোঁজের সপ্তাহখানিক আগে বাড়িত আইয়া প্রতিপক্ষের লোকজন অস্ত্রের মহড়া দিয়া কইয়া গেছে, আমার স্বামীরে আর জীবিত রাখত না। তারে গুম কইরালবো। আজকে (গতকাল) বিল থেকে যে কঙ্কাল উদ্ধার হইছে, এইটা আমার স্বামীর। প্রতিপক্ষের লোকজন তারে খুন কইরা গুম কইরা রাখছিল। আমি আমার স্বামী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ বিচার চাই।’
কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘ফরেনসিক রিপোর্ট ছাড়া পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। নিখোঁজ শামীমের পরিবারের দাবি থাকলেও আমরা রিপোর্ট আসার আগে কিছু বলতে পারছি না।’
মন্তব্য করুন