সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৪৮টি কমিউনিটি ক্লিনিকে টানা তিন মাস ধরে ওষুধের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে ক্লিনিকে এলেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের চড়া দামে বাইরের দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার ধানগড়া ইউনিয়নের বাসুড়িয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দেখা যায়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ওষুধ চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) অসহায়ভাবে না করছেন। ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা কাজল দাস জানান, এই ক্লিনিকের আওতায় প্রায় ৬-৭ হাজার মানুষ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০-৪৫ জন রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু দুই মাসের মধ্যেই বরাদ্দকৃত ওষুধ শেষ হয়ে যায়। এখন টানা তিন মাস ধরে কিছুই দেওয়া যাচ্ছে না।
ওষুধ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রোগী হোসনে আরা বলেন, আমার ১৯ মাসের ছেলেকে নিয়ে আসলাম, কিছুই পেলাম না। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন আমিনা, রেহানা বেগমসহ আরও অনেকেই।
শুধু বাসুড়িয়া নয়, ঘুরকা ইউনিয়নের শ্যামনাই ক্লিনিক, সোনাখাড়া ইউনিয়নের গোতিথা ক্লিনিক, নিমগাছি গোপালপুর, ধামাইনগর ও খোকসা হাট কমিউনিটি ক্লিনিকেও একই সংকট চলছে।
নিমগাছি গোতিথা ক্লিনিকের সিএইচসিপি রেবেকা সুলতানা জানান, রোগীদের অভিযোগ- কখনো এক-দুইটা ট্যাবলেট কেটে দেওয়া হয়, কখনো আবার কিছুই থাকে না।
ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষিরতলা ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত লিটন শেখ বলেন, ৩-৪ মাস হলো ওষুধ সংকট চলছে। রোগীরা প্রতিদিন এসে হতাশ হয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফারিয়া জানান, আমি মাত্র এক সপ্তাহ হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এখনো পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোনো ওষুধ সংকটের খবর পাইনি। তবে যদি কোথাও সংকট থেকে থাকে, তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন