মো. হামজা শেখ, কালুখালী (রাজবাড়ী)
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২২ এএম
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পরিযায়ী পাখির কিচিরমিচিরে মুখর শিবরামপুর

রাজবাড়ীর শিবরামপুর গ্রামের করবাড়ির পুকুরপাড় এখন পাখিদের রাজ্য। ছবি : কালবেলা
রাজবাড়ীর শিবরামপুর গ্রামের করবাড়ির পুকুরপাড় এখন পাখিদের রাজ্য। ছবি : কালবেলা

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাণিবহ ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রাম এখন অতিথি পাখির কলরবে মুখরিত। শীতের আগমনি হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো পরিযায়ী পাখি এসে আশ্রয় নিয়েছে এই নিভৃত গ্রামে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর হয়ে থাকে চারদিক।

রাজবাড়ী জেলা শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিবরামপুর গ্রামের করবাড়ির পুকুরপাড় এখন পাখিদের রাজ্য। চারপাশে ঘেরা গাছের ডালে শত শত বাসা বেঁধেছে তারা। কেউ উড়ছে আকাশে, কেউবা ডালে বসে কলতান করছে। দলবদ্ধভাবে ওড়ার দৃশ্য দেখে মনে হয়, যেন কোনো শিল্পী তুলির আঁচড়ে এঁকে রেখেছেন প্রকৃতির এক জীবন্ত ছবি। পাখিদের কলতানে মুখর শিবরামপুর এখন রাজবাড়ীর এক অনন্য সৌন্দর্যের প্রতীক। যেখানে প্রতিটি সকাল শুরু হয় পাখিদের গানে, আর প্রতিটি বিকেল শেষ হয় প্রকৃতির নরম ছোঁয়ায়।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে মাঝে মাঝে কিছু পাখি দেখা যেত, এখন প্রতি বছরই তাদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর প্রায় ২০ হাজারের মতো পাখি এসেছে। সকালে খাবারের খোঁজে উড়ে যায়, আবার বিকেলে ফিরে এসে গাছভরা গ্রামটিকে কিচিরমিচিরে ভরিয়ে তোলে।

পাখি দেখতে আসা সবুজ মিয়া বলেন, পাখিদের কলরব শুনলে মনে হয় প্রকৃতি গান গাইছে। এমন দৃশ্য মন ভরিয়ে দেয়।

এদিকে পাখি দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। কেউ ছবি তুলছে, কেউ ভিডিও করছে, কেউবা শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনছে পাখিদের সুরেলা ডাক।

রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর মোহাম্মদ নুরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, পরিযায়ী পাখিরা শীতপ্রধান দেশ থেকে খাবার ও নিরাপদ পরিবেশের সন্ধানে বাংলাদেশে আসে। তারা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের উপস্থিতি আমাদের প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সায়েদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি। পাখি সংরক্ষণে স্থানীয়দের সচেতন করা হচ্ছে এবং সেখানে একটি সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফোনে স্ত্রীর নাম ‘মটু’ নামে সেভ করায় ডিভোর্স

পরীক্ষার খাতা দেখে পাস করাতে টাকা দাবি করেছিলেন শিক্ষক

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে লালন স্মরণোৎসব ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’

দেশকে শেখ পরিবারের জমিদারি বানিয়েছিল হাসিনা : প্রেস সচিব

যুদ্ধোত্তর গাজা নিয়ে কায়রোয় হামাস-ফাতাহ বৈঠক

রোহিঙ্গাদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ 

সপ্তাহের সেরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি, পদ সংখ্যা ৭৩৭

এবার কোক স্টুডিওতে তুহিনের গান

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখলের বিল অনুমোদন ইসরায়েলে, বাংলাদেশের নিন্দা 

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ধাক্কা, নিহত ২

১০

শিল্পকলায় আসছে নোবেলজয়ী নাট্যকারের ‘ডিজায়ার আন্ডার দ্য এলমস’

১১

দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত, নিয়মিত বেতন তুলছেন স্বাস্থ্যকর্মী

১২

বিএনপি নেতা নুরুল আমিনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৩

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ক্ষুধার কষ্ট কমেনি : ডব্লিউএইচও

১৪

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীকে হত্যা, ৪ বাংলাদেশিসহ আটক ৬

১৫

ফোনের ইন্টারনেট স্লো, সহজ ৯ কৌশলে হুহু করে বাড়বে স্পিড 

১৬

জন্মদিন যেভাবে উদযাপন করলেন পরী

১৭

এই সীমান্তের ৭০ শতাংশ বাসিন্দা মাদক ও চোরাচালানে জড়িত 

১৮

জাজিরায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১৯

তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর নতুন বাংলাদেশ

২০
X