

রাজশাহীর বাঘায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুজন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নীচ খানপুর গ্রামের আমান মণ্ডল (৩৬) ও নাজমুল মণ্ডল (২৬)। আহতরা হলেন- একই গ্রামের মুনতাজ মণ্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিহার চন্দ্র মণ্ডল কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা ১১টার দিকে চরাঞ্চলের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আমান, নাজমুল, মুনতাজ ও রাবিক গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, চরাঞ্চলের জমির দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনী’ এ হামলা চালিয়েছে।
নীচ খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, তারা চর এলাকায় খড় কাটার সময় কাকন বাহিনীর লোকজন অস্ত্র নিয়ে এসে জমির দখল নিতে গুলি ছোড়ে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং আরেকজন রাজশাহী নেওয়ার পথে মারা যান।
তবে এ সংঘর্ষের ঘটনায় কাকন বাহিনীর কোনো সদস্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডা. নিহার চন্দ্র মণ্ডল বলেন, মুনতাজের শরীরে অন্তত শতাধিক, রাবিকের শরীরে প্রায় ৮০, নাজমুলের শরীরে ৩৫টির মতো এবং আমানের মাথাসহ শরীরের পাঁচ স্থানে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো পিস্তল ও রাবার বুলেট হতে পারে।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মণ্ডল বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আহতদের বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন