

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে খেজুরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করা, হস্তান্তরের আগেই রড বেরিয়ে যাওয়া, মানহীন ইট-বালিসহ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাদাকাটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল খেজুরডাঙ্গা গ্রামের খা সংলগ্ন এলাকায় ৪০ শিক্ষার্থীদের জন্য ১ কোটি সাড়ে ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২৪ সালের ১ মে থেকে কাজ শুরু করেছেন সালেহা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম।
২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নামেনি। এরপর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয় কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও আজ অব্দি কাজ শেষ নামেনি। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে নিচু একটি টিনের ঘরে, যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো বাতাস পৌঁছায় না।
উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইনের যোগসাজশে ভবনে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, রড, বালি ও পাথর ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় লোকজন। কাজ শেষ হওয়ার আগেই চিলেকোঠার ছাদের একাধিক স্থানে ও ছাদে ঢালাইয়ের রড বেরিয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ভোলানাথ মণ্ডল ও গোলক চন্দ্র জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় এখানে অফিসের লোকজন ঠিকমতো তদারকি করতে আসেননি। এ জন্য ঠিকাদার ইচ্ছেমতো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করে গেছেন। কাজের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস হোসেনকে ভবনে ব্যবহৃত অতি নিম্নমানের ইটের ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র গাইন বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেও কোনো ফল হয়নি। আমি স্কুলের কাজে ব্যস্ত থাকায় সবদিক খেয়াল করতে পারিনি।
ঠিকাদার আবুল কালাম বলেন, বছরের শেষ সময়ে এসে এর থেকে ভালো ইট পাওয়া যায়নি।
নিম্নমানের দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব বলেন, ঢালাইয়ের সময় ছাদের ওপর ভাইব্রেটর মেশিন ঠিক মতো কাজ করেনি তাই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। ইট খুব ভালো না হলেও একেবারে খারাপ না।
মন্তব্য করুন