

ভারতের মনিপুর রাজ্যের ভূমিকম্পে কাঁপল সিলেট। ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ এই শহরে ভোরের দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটি মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় অনেকেই ঘটনাটি টের পাননি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে ৩ দশমিক ৪ মাত্রার এ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মনিপুরে। এই ভূমিকম্পটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তেমন অনুভূত হয়নি। এ ধরনের ভূমিকম্প প্রায় হয়ে থাকে যা প্রজ্ঞাপন করা হয় না।
এদিকে মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কেঁপেছে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ শহর। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। ভূকম্পনবিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানিয়েছে, টেকনাফে খুব অল্প ঝাঁকুনি দেওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটি টের পাননি।
ভলকানো ডিসকভারি বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পের উৎপত্তির গভীরতার তথ্য জানাতে না পারলেও ইএমএসসি বলেছে, এটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছিল।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশে আঘাত হানে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্প। এতে অন্তত ১০ জন প্রাণ হারান। এই ঘটনার পরদিনই (শনিবার) আরও তিনবার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা বড় আতঙ্কে আছেন। বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে বলেই মত দিয়েছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একটি সমীক্ষা বলছে, পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্ট বা ফাটল রেখায় ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
মন্তব্য করুন