

সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপংকর দাশ দীপ আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২১ বছর।
বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নগরের গোপালটিলায় দীপের বাসায়ও ভিড় করছেন তার বন্ধু-স্বজনদের অনেকে।
দীপংকর দাশ দীপের মামাতো ভাই দেবব্রত গুপ্ত দীপু কালবেলাকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বুধবার ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপের মৃত্যু হয়। ইতোমধ্যে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, হোস্টেলে হঠাৎ শরীর খারাপ হলে তার সহপাঠীরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় চিকিৎসকরা জানান, দ্বীপ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে দ্বীপ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইতোমধ্যে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। মালেশিয়ার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দ্বীপ একাই বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
দীপংকর দাস দ্বীপ ছিলেন সিলেটের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যামিলি কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তার মা, ছোট ভাই, নানি ও বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করা হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তার ভিডিওগুলোতে পারিবারিক ভালোবাসা, আনন্দ আর ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে পড়ত প্রতিনিয়ত।
জানা গেছে, অল্প সময়েই সবার পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ফেসবুক, ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে তার বিশাল ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে। তার মৃত্যুতে সামাজিক সংগঠন, কনটেন্ট ক্রিয়েটর মহল, তরুণ সমাজ ও অনুরাগীসহ সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকে শোকবার্তা প্রকাশ করছেন।
এ বিষয়ে সিলেটের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও দীপের বন্ধু নুরুল আমিন জনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে দ্বীপের বুকে ব্যথা অনুভূত হলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, সে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছে। পরে অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বীপের মরদেহ দেশে আসতে দুই-একদিন সময় লাগবে।
মন্তব্য করুন