

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মারামারির ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম কাজী সাদিক মাহমুদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র করে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের জায়গা নিয়ে দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কাজী সাদিক মাহমুদ হাতে থাকা কাটারের আঘাতে জহিরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী জখম হন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে কুয়েটের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিষ্কারের এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কাজী সাদিক মাহমুদ লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। ঘটনাটির প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে কুয়েটের মেইনগেট সংলগ্ন এলাকায় ভর্তি পরীক্ষার স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টলের স্থান নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ২৪তম ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদ এবং একই ব্যাচের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সাদিক মাহমুদ হাতে থাকা কাটার দিয়ে জহিরুল ইসলামের বাম পেটের পাশে আঘাত করেন।
আহত জহিরুল ইসলামকে সহপাঠীরা দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাকসুদ হেলালী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রভোস্ট, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান ও নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সমন্বয় সভা আহ্বান করেন। সন্ধ্যা ৬টায় কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী সাদিক মাহমুদকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর সব চিকিৎসা খরচ বহন, উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
এদিকে, অন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্ট্রিট পেইন্টিং ও স্টল সংক্রান্ত সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন