কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কয়রায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী

কয়রায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস। ছবি : কালবেলা
কয়রায় বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ধস। ছবি : কালবেলা

খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে খুলনার কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের ২নং কয়রা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারে বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার অংশ ধসে পড়ে। এর আগে ভাঙনরোধে পাঁচ শতাধিক জিও ব্যাগ ও বড় বড় মাটির খণ্ড নিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়।

ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন ২ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ গ্রামসহ কয়রা উপজেলা সদরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভাঙনরোধে অবিলম্বে পাউবোর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার একর আমনের খেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদের লোনাপানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

আজ সকালে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ধসে যাওয়া স্থানে সংস্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ পাশ থেকে মাটি কেটে ধসে যাওয়া স্থানে ফেলছেন; আবার কেউ বাঁধের ঢাল থেকে জিও ব্যাগ তুলে ধসে যাওয়া বাঁধের স্থানে দিচ্ছেন।

২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা আবু মুসা ও আসলাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাত্র দুই বছর আগে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ এরই মধ্যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তারা আরও বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় ওপরে এবং বাঁধের দুই পাশে মাটি দেওয়া হলেও ভেতরে বালু দেওয়া হয়। এ কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে ধসে গেছে।

কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম শেখ বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বাঁধের ওই স্থান ভেঙে গিয়েছিল। সে সময় পাউবো ওই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়। তবে সঠিক তদারকি না থাকায় কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অপরিকল্পিতভাবে বাঁধটি মেরামত করে। এ কারণে দুই বছর না যেতেই বাঁধটি ভাঙনের শঙ্কার মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে ভাঙনকবলিত স্থানে নদের পানিতে ঘূর্ণমান প্রবাহ দেখা যাচ্ছে। এতে বাঁধের নিচের অংশের মাটি দ্রুত সরে যাচ্ছে। বাঁধ যাতে না ভাঙে, সে জন্য নদের তীরে পাকা ব্লক দেওয়া দরকার।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙনকবলিত স্থানে গিয়েছিলাম। বিষয়টি পাউবোর কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাথমিকভাবে পানি ঠেকাতে পারলেও ভাঙনরোধে দ্রুত পাউবোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় নদের তীরবর্তী জনপদের বিস্তীর্ণ এলাকা বিলীন হওয়ার আশঙ্কা আছে।’

খুলনা পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুহম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘কয়রার এসব বেড়িবাঁধ এতদিন সাতক্ষীরা জেলার আওতাধীন ছিল। দুই বছর আগে ২ নম্বর কয়রা এলাকার বেড়িবাঁধটি জাইকার অর্থায়নে সাতক্ষীরা পাউবো নির্মাণ করেছিল। আমরা খুলনা পাউবো সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছি। তবে প্রশাসনিক জটিলতা এখনো কাটেনি। আমি আজ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনকবলিত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আত্মীয়স্বজনের যে আচরণের কারণে মৃত ব্যক্তিকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়লেন সালাহ

গাজা নিয়ে জাতিসংঘে চাপে যুক্তরাষ্ট্র

গাজীপুরে মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর

বাংলাদেশের সমর্থকদের ভরসা দিলেন লঙ্কান অলরাউন্ডার

আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ১১

মায়ামির সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পথে মেসি

দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, অতঃপর...

নেতার সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন স্ত্রী, নিরুপায় স্বামীর হাহাকার

১০

দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ

১১

দিল্লিতে সভা / ‘বাংলাদেশের এখনকার পরিস্থিতি মানতে হবে’

১২

পাখি আর মানুষের এক অসম প্রেমের গল্প

১৩

ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান ইউরোপিয়ান কমিশনের 

১৪

মেঘনা ব্যাংকে চাকরি, আবেদন করুন আজই

১৫

মোদি-পুতিন ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক চাচ্ছে ইইউ

১৬

বিতর্কিত শিল্পপতি রিপন মুন্সি অবশেষে কারাগারে

১৭

জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

১৮

ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুললেন সেই অভিনেতা

১৯

জয়পুরহাটে ছাত্রদলের সাত নেতা বহিষ্কার

২০
X