

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, লবণশিল্পের আধুনিকায়ন, ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলগুলোয় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, মাতামুহুরী নদীতে টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণসহ মিষ্টি পানির উৎস থেকে ফসল উৎপাদন ও কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতীয় সংসদে অর্থবহ আলোচনা করা হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কক্সবাজারের পেকুয়ায় বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত শেষে গণসংযোগে যোগ দেন তিনি। সকাল সাড়ে ১০টায় শিলখালী সাঁকোরপাড় স্টেশনে এক পথ সভায় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন যাতে তিনি সুস্থ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, চকরিয়া ও পেকুয়ায় আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার করা হবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও আত্মকর্মসংস্থান খাতে যুবসমাজ ও তরুণদের সম্পৃক্ত করে এ অঞ্চলকে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় ত্বরান্বিত করার কাজে হাত দেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ মাটি ও মমতার সঙ্গে আমার শেকড়ের সম্পর্ক রয়েছে। একটি নিরাপদ ও স্বনির্ভর চকরিয়া-পেকুয়া গড়তে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। আগামীতে কিছু মৌলিক বিষয়কে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন এদেশে কী করে করতে হবে তা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে করব। এতো উন্নয়ন হবে একটা একটা করে, হিসেব দিতে হলে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। আগামীতে অনেক কথা হবে সে সময় উন্নয়নের বর্ণনা দেব। আপনারা ঘরে ঘরে তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ধানের শীষ প্রতীকের সালাম পৌঁছে দেবেন।
প্রসঙ্গত, সালাহউদ্দিন আহমদ দীর্ঘ ১৪ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় (চকরিয়া-পেকুয়া) ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণায় নেমেছেন। এ প্রচারণা চলবে আগামী ছয় দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-১ আসনের চকরিয়া, পেকুয়া ও মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় গণসংযোগ করবেন।
মন্তব্য করুন