

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি পরিযায়ী হিমালয়ান শকুনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর কাঞ্চনা এলাকা থেকে পাখিটি উদ্ধার করা হয়।
পাখিটির ডান পায়ের থাবার অংশ নেই এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় দীর্ঘ উড়ানের ক্লান্তিতে নিচে পড়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর কাঞ্চনা এলাকার একটি মাদ্রাসার সামনে শকুনটি হঠাৎ আকাশ থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে মাদ্রাসার ছাত্ররা বন বিভাগকে খবর দিলে কর্মকর্তারা রাতে গিয়ে শকুনটিকে উদ্ধার করে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকূল পরিবেশ ও খাদ্য সংকটের কারণে বাংলাদেশে শকুন বিলুপ্তপ্রায়। উদ্ধার হওয়া শকুনটি পরিযায়ী প্রজাতির ‘হিমালয়ান গৃধিনী’ নামে পরিচিত। এটি শীত এলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও তিব্বতের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে দক্ষিণে নেমে আসে। দীর্ঘ পরিযায়নের ক্লান্তিতে শীতকালে এ প্রজাতির শকুন প্রায়ই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বল অবস্থায় আটকা পড়ে।
আইইউসিএনের শকুন সংরক্ষণ প্রকল্পের গবেষক সীমান্ত দীপু কালবেলাকে জানান, প্রতি বছর শীতকালে হিমালয়ান গৃধিনী শকুন বাংলাদেশে আসে এবং উড়তে না পেরে অনেক সময় আটকা পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত বন বিভাগ বা আইইউসিএনকে খবর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রায় সাত কেজি ওজনের উদ্ধার হওয়া শকুনটির ডান পা ছিল না। দীর্ঘ পথ উড়ার পর খাবার না পেয়ে শকুনটি ক্লান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। আমরা শকুনটিকে খাবার দিয়েছি, এখন মোটামুটি সুস্থ। তবে উড়তে পারার মতো শক্তি নেই। শকুনটিকে কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের বন্য প্রাণী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই পরিচর্যার পর পাখিটিকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
উদ্ধার হওয়া হিমালয়ান গ্রিফন শকুন প্রজাতিটির আইইউসিএনের লাল তালিকায় রাখা হয়েছে ‘প্রায়-বিপদগ্রস্ত’ ক্যাটাগরিতে। এর মানে হলো, এই প্রাণীর প্রজাতি অদূর ভবিষ্যতে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
মন্তব্য করুন