ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট আরিফুজ্জামানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দিনভর অভিযান চালিয়েছে ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি টিম।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের ঝিনাইদহ সম্বনিত অফিসের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান। এ সময় ল্যাব ও এক্স-রে ইউনিটে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় একের পর এক দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতে। বিষয়টি নিয়ে দুদকের ঝিনাইদহ অফিসের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান, তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব ও এক্স-রে ইউনিটে অভিযান পরিচালনা করে। রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার কাগজপত্র যাচাইবাছাইয়ের পর হাতেনাতে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছেন তারা। তথ্যপ্রমাণসহ দুদকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ল্যাব টেকনোলজিস্ট আরিফুজ্জামান ২০১৯ সাল থেকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন। দুদকের এ অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন। তিনি জানান, দুদকের এ অভিযানে ল্যাবে রোগীদের পরীক্ষার জন্য টাকা গ্রহণের বিপরীতে দেওয়া বিভিন্ন রশিদে অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে।
দুদকের অভিযানে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ল্যাব টেকনোলজিস্ট আরিফুজ্জামান জানান, ল্যাবে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যে রিএজেন্ট সরকারিভাবে আসে তাতে অর্ধেক মাস চলে। রশিদে যে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে সেই টাকা দিয়ে বাকি মাসের রিএজেন্ট কেনেন বলে তিনি দাবি করেন। সূত্র জানায়, ল্যাব টেকনোলজিস্ট আরিফুজ্জামান রোগীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে গ্রহণ করে মাত্র ৫০ টাকা হাসপাতালের কোষাগারে জমা দেন। বাকি টাকা তিনি পকেটস্থ করেন।
মন্তব্য করুন