টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণের সময় অসুস্থ হয়ে কামাল হোসেন (৪৬) নামে গোয়েন্দা পুলিশের এক উপপরিদর্শকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১ অক্টোবর) সকালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ফাইনাল পরীক্ষার দৌড়ে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কামাল হোসেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার পাকঢাল গ্রামের মোকছেদ আলী ফকিরের ছেলে। তিনি বরিশাল গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
ট্রেনিং সেন্টারের মেডিসিন ইনফরমার জাকির হোসেন জানান, কামাল হোসেন ভোরে বুকের ব্যথা অনুভব করতে থাকলে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী সার্জন ড. নিলয় বলেন, অক্সিজেন দিয়ে উপজেলার জামুরকী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে ওখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল রেফার্ড করেন।
মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট ডিআইজি মো. নজরুল ইসলাম এনডিসি জানান, সকালে তাদের প্রশিক্ষণের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। প্রথম এক কিলোমিটার দৌঁড়ানোর পরে তিনি দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রথম পরীক্ষায় তিনি শতভাগ নম্বরও পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য অপেক্ষারত থাকা অবস্থায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। প্রথমে সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় সকাল আটটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, কামালের মৃত্যুর বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাসহ পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। উপপরিদর্শক কামাল হোসেন পারিবারিকভাবে তিনি তিন সন্তানের জনক। ১৯৯৭ সালে তিনি পুলিশে যোগদান করেন।
এদিকে তার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি আশফাকুল আলমকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান ডিআইজি নজরুল ইসলাম।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশের ওই সদস্যকে তাদের এখানে আনার পর ইসিজি করে দেখা যায় তার পালস ছিল না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন