মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার দক্ষিণ ফুলদী গ্রাম থেকে পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়ে ট্রলারে নারায়ণগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জ নদীর পাড়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন মফিজুল ইসলাম। সেখান থেকে ঘুরে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় তার স্ত্রী-দুই মেয়েসহ পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় ট্রলারে থাকা বাকি ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে মুন্সীগঞ্জের সীমানাধীন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার চরকিশোরগঞ্জের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ মো. মফিজুল ইসলাম স্ত্রী সুমনা (২৮), দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬), জান্নাতুল ফেরদৌস (৩)। কাজী বুরহান উদ্দিনের মেয়ে মারওয়া (৬)। তারা মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ফুলদি গ্রামের কাজী বাড়ির বাসিন্দা। অপর দুজন সাব্বির হোসেন (৪২) তার ছেলে ইমাত হোসেন (২)। তারা দুজন মফিজুল ইসলামের স্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা বেড়াতে এসেছেন বলে জানা গেছে।
মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ি ও পরিবারের লোকজন নিয়ে গজারিয়া থেকে ঘুরতে বের হই চরকিশোরগঞ্জ নদীর পাড়। সন্ধ্যা হলে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডটি ট্রলারে ওপর উঠিয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে ট্রলার ডুবে গেলে সবাই তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ট্রলার চালকসহ ছয়জন সাঁতরিয়ে আশপাশের ট্রলারে ওঠে। আর বাকিরা পানিতে তলিয়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন বলেন, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আছে। তবে রাতের বেলায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আগামীকাল সকাল বেলা উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
কলাগাচিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি (বন্ধন নারায়ণগঞ্জ) ইনচার্জ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে আমরা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। রাত ও নদীতে প্রচুর ঢেউ থাকায় আমরা উদ্ধার অভিযান ভালোমতো করতে পারছি না।
মন্তব্য করুন