ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২২ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গাছের ডাল কাটল পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, আশ্রয়হীন হাজারো পাখি

গাছের ডাল কেটে দেওয়ায় বৈদ্যুতিক তারে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো পাখি। ছবি : সংগৃহীত
গাছের ডাল কেটে দেওয়ায় বৈদ্যুতিক তারে আশ্রয় নিয়েছে হাজারো পাখি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বটগাছের ডাল কেটে দেওয়ায় হাজার হাজার চড়ুই ও শালিক পাখি আশ্রয় হারিয়েছে। রোববার (৮ অক্টোবর) বাড়েরহাটের ফকিরহাট বিশ্বরোড মোড়ে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গাছটির ডালগুলো গোড়া থেকে কেটে দেয়। এরপরই আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে পাখিগুলো।

এদিকে গাছের ডাল কেটে ফেলায় আশ্রয় হারিয়ে হাজার হাজার পাখিগুলো গাছের চারপাশে উড়ে আর্তনাদ করতে দেখা যায়। এ সময় পাখিগুলো বৈদ্যুতিক তার ও আশপাশের ভবনের ফাঁকা অংশে আশ্রয় নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় একাধিক দোকানদার জানান, সকালে খাবারের খোঁজে উড়ে গেলেও বিকেল হলেই হাজার হাজার পাখি এসে গাছটিতে আশ্রয় নেয়। এ সময় প্রতিটি পাতার ফাঁকে ফাঁকে সমপরিমাণ পাখি দেখা যায়। পাখির কলতানে আশপাশের পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ এসে গাছটির ডালগুলো কেটে রেখে চলে যায়। বিকেল হতেই পাখিগুলো গাছে আশ্রয় নিতে এসে ডালপালাহীন গাছের চারপাশে উড়ে আর্তনাদ করতে থাকে। এ সময় হাজার হাজার পাখি বৈদ্যুতিক তার ও আশপাশের ভবনের ফাঁকে অবস্থান নেয়।

পাখিদের এ অসহায়ত্ব দেখে স্থানীয় লোকজন হতাশা প্রকাশ করে। তাদের দাবি, গাছের পাশ থেকে যাওয়া বিদ্যুতের কাভার তারগুলো মোটা রাবারে ঢাকা ছিল। তা ছাড়া ডালগুলো কোনো অবস্থায়ই তারের সঙ্গে লাগানো ছিল না। রক্ষণাবেক্ষণের নামে গাছের ডাল কাটার কোনো যুক্তি নাই।

প্রখ্যাত পাখিবিশাদর শরীফ খান বলেন, পরিবেশের বন্ধু পাখিদের আশ্রয় ধ্বংস না করে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেত। অথবা গাছের শুধু মগডালগুলো কাটা যেত।

ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আহসানুল করীম, কাভার তার হলেও ৫ ফিট দূরত্ব পর্যন্ত গাছের ডাল কাটার নিয়ম রয়েছে। অনেক সময় ভুল করে ডালের গোড়া থেকে কেটে দেয় কর্মীরা। পরে তারা যেন এমন কাজ না করে সে বিষয়ে বলে দেওয়া হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিলিপাইনে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

জুমার দিন যে সময়ে দোয়া করলে আল্লাহ মনের চাহিদা পূরণ করেন

শেরপুরে স্কুল মাঠে মেলার আয়োজন, ক্ষোভে ফুঁসছেন তরুণরা 

অনলাইনে ইলিশ বিক্রির নিবন্ধন পেলেন ৭ উদ্যোক্তা

ভিক্ষুকের ঘরে ২ বস্তা টাকা, গুনতে লাগল ৫ ঘণ্টা 

১০ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

গাজায় যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে 

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গাজা চুক্তিকে ইরান হামলার সঙ্গে যুক্ত করলেন ট্রাম্প

১০ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

নোয়াখালী বিভাগ চেয়ে ইতালিতে প্রবাসীদের স্মারকলিপি

১১

কাবুলে বিস্ফোরণ, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যা বললেন জবিউল্লাহ মুজাহিদ

১২

‘ওলামা-মাশায়েখদের ত্যাগ-কোরবানি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’

১৩

যুদ্ধবিরতিতে গাজার ঘরে ঘরে আনন্দ, রাস্তায় মিছিল

১৪

সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব : চসিক মেয়র

১৫

২০ মাসে মামলার রায়, স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

১৬

ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারই জাতির একমাত্র লক্ষ্য : গয়েশ্বর

১৭

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভেঙে ফেললেন লন্ডন প্রবাসী

১৮

ইসরায়েলের যে কারাগারে বন্দি শহিদুল আলম

১৯

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান, টিটিপি প্রধান নিহতের গুঞ্জন

২০
X