সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গোলাগুলির ঘটনায় দুলাল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত দুলাল মিয়া পুকিডর গ্রামের আলীম উদ্দিনের ছেলে। এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের পুকিডহর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
গুরুতর আহত গুল আহমদ (৪৫), রুপ উদ্দিন (৪২), মিলাদ খানকে (২০) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে দিরাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুকিডহর গ্রামের মরহুম হাজী শুকুর খানের ছেলে আরজু খান এবং তাদের পরিবারের সবাই যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। প্রবাসী পরিবারের মালিকাধীন দিরাই উপজেলার পুকিডহর গ্রামের দুটি বাড়ি ও দিরাই পৌর শহরে একটি বাসা হোসেন খান সাজু গংয়ের দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। আরজু খানের পক্ষের মামলার সাক্ষী হওয়া ও গণমাধ্যমে কথা বলায় নিহত দুলাল মিয়ার ওপর হোসেন খান সাজু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরই জের ধরে বুধবার দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুলাল মিয়া।
দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। নিহত দুলাল মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন