অবরোধের মধ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রী তোলা নিয়ে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দুই গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া ও জকিনগর গ্রামবাসীর মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে দিরাই বাসস্ট্যান্ডে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সিরিয়াল নিয়ে জকিনগর গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও গচিয়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে সোহাগ মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুপুরে সোহাগের সহোদর সোহান মিয়া সিএনজি নিয়ে দিরাই থেকে গচিয়া যাবার পথে জকিনগর এলাকায় পৌঁছালে আনোয়ার হোসেনের লোকজন সোহান মিয়ার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। তার সিএনজি অটোরিকশাটি ভাঙচুর করে ডোবায় ফেলে দেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সোহান মিয়ার গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত গচিয়া ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ৫০ জনের মতো আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত ১৭ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহতরা হলেন, কাজল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২২), হাসান মিয়ার ছেলে আমীর হোসেন (২০), মান উল্লাহর ছেলে রুবেল মিয়া (৩০), মৃত ওয়াহিদ উল্লাহর ছেলে এরশাদ মিয়া (৬০), ফজলুল হকের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩০), সুলতান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান (২৫), মাহববুজ্জামান (২১), শহিদুজ্জামান (২৫), সফিক মিয়ার ছেলে সহিদুল হাসান (৩০), আব্দুর রুপ মিয়ার ছেলে মিটু মিয়া (২৩), আশিক মিয়ার ছেলে লিপন মিয়া (৪০)। অপর আহতদের নাম জানা যায়নি।
দিরাই থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দিরাই থানা পুলিশ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন