এক দফা দাবি আদায়ে চলছে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি। থেমে নেই পুলিশের ধরপাকড় অভিযান, চলছে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা রাত হলেই দল বেঁধে কাঁথা, বালিশ, মশারি ও টর্চ লাইটসহ বেরিয়ে পড়ছেন বাড়ির পাশের মাঠে অথবা ছোট জঙ্গলে। সম্প্রতি এমনই ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর কালীগঞ্জ থানায় ৪টি নাশকতার মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে ৩টি মামলা পুলিশ বাদী ও অন্যটির বাদী পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শামীমুর রহমান। ৪টি মামলায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে পুলিশ একের পর এক গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে। এসব মামলার কারণে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঘরবাড়ি ছাড়া রয়েছেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে না পেয়ে বাবাকে আটক ও নারীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে পুলিশ। বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করার অভিযোগও রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু জানান, প্রতিদিন রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি ও নারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে পুলিশ। গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে আন্দোলন দমানো যাবে না। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠ বা জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ব্যাপারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। বাড়ি ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের স্ত্রী-মায়েদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করছে। এসব করে বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথ থেকে সরানো যাবে না। ১ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারেক রহমানের নির্দেশে নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, যে কোনো প্রকার নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত। শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪টি মামলায় প্রায় ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন