ফরিদপুর (আলফাডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আ.লীগ, জাপা, বিএনপির পর এবার বিএনএমে শাহ জাফর

শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। ছবি : কালবেলা
শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। ছবি : কালবেলা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমে যোগ দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। তিনি ফরিদপুর-১ সংসদীয় আসনের (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী এবং মধুখালি) চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফরকে বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দলটির নতুন মহাসচিব ড. মো. শাজাহান বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যরা বিএনএমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। নিজ নিজ সংসদীয় আসনে তারা নির্বাচন করবেন।

এ বিষয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর কালবেলাকে জানান, ‘আমি বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দলকে নির্বাচনমুখী করতে আমরা প্রত্যেক আসনে প্রার্থী দেব। এই দল অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, শোষণ, দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং প্রতিবাদের সঙ্গে থাকবে।’

বিএনপির মতো বৃহৎ সংগঠন ছেড়ে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনবিমুখ রাজনীতি করছে, তাতে দেশে বিশৃঙ্খলা হতে পারে সেজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব বিষয়ের সঙ্গে একমত হতে পারছি না। তাই বিএনপি ত্যাগ করেছি। এজন্য অধিকাংশ লোক আমাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। ৭৫ শতাংশ লোক আমার পক্ষে কথা বলছে। আার ২৫ শতাংশ লোক এর বিরোধিতা করছে।’

শাহ জাফর ১৯৬৯-৭০ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর বৃহত্তর ফরিদপুর সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬৯ ও ৭০ সালে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে ফরিদপুর-১ আসন থেকে এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে বাকশাল থেকে এমপি নির্বাচিত হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। এরপর ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং ২০০৫ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হন। সবমিলিয়ে তিনি ৯ বার সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাসসের আলী ইসা কালবেলাকে জানান, ‘শাহ জাফর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তার কলঙ্কিত এক অধ্যায় হলো তার রাজনীতিক জীবন। কারণ এ দেশে যখনই গণতন্ত্র হরণ হয়েছে তখনই তিনি গণতন্ত্রবিরোধী স্বৈরাচারের পক্ষে নিয়েছেন। এটা তার রাজনৈতিক ইতিহাস।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১০

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

১১

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

১২

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৩

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১৪

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১৫

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৬

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

১৭

সেই বিয়ের কথা স্বীকার করলেন পরীমনি

১৮

দুর্গোৎসবে টাইমস স্কয়ারে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের আবহ

১৯

‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন ২০০৯’ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি

২০
X