গর্ভবতী থাকা অবস্থায় স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হলে মায়ের বাড়িতে চলে যান কোকিলা খাতুন। কোকিলা খাতুনের মা ঝিনাইদহ শহরে ভিক্ষা করেন। এর মধ্যে কোকিলা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে কালীগঞ্জ শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়। গত ২৮ নভেম্বর ফুটফুটে এক শিশুসন্তানের জন্ম হয়। পরে সন্তানকে দত্তক দেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের হেলাই গ্রামের সোহাগ হোসেনের কাছে।
এ ঘটনা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে থানায় এসে অভিযোগ করেন কোকিলা খাতুনের স্বামী আকাশ হোসেন। এরপর পুলিশ গিয়ে হেলাই গ্রাম থেকে নবজাতককে উদ্ধার করে। বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ।
ওসি আবু আজিফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেন আকাশ হোসেন। গত ২৮ নভেম্বর তার স্ত্রী সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। আকাশ হোসেনকে না জানিয়ে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি সন্তানকে দত্তক দেয়। পরে তার স্ত্রী কোকিলা খাতুন ভুল বুঝতে পারে এবং স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে সন্তানকে উদ্ধার করে আনতে বলে।
নবজাতকটি দত্তক নেওয়া সোহাগ হোসেন জানান, ঝিনাইদহ শহরে ভিক্ষা করেন আনোয়ারা খাতুন। মেয়ের সিজারের কথা বলে ভিক্ষা করতে আসেন। সেখান থেকেই পরিচয়। সিজারের আগেই সন্তানটি তাদের দিবেন বলে জানান সন্তানের নানি আনোয়ারা খাতুন। বিনিময়ে সিজারের খরচ ও নগদ ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। স্থানীয় মেয়র ও কাউন্সিলরকে জানিয়ে শিশুটিকে তারা নিয়ে গিয়েছিলেন।
নবজাতক শিশুটির বাবা আকাশ হোসেন জানান, তার স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হয়েছিল। তাকে না জানিয়ে সন্তানটিকে দত্তক দিয়েছিল। জানতে পেরে তিনি তার সন্তানকে ফেরত নিতে থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন