১০ ডিসেম্বর জামালপুর হানাদার মুক্ত দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জামালপুরের জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে শহরে বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি স্থানীয় বকুলতলা চত্বর থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
একাত্তরে যুদ্ধের শুরুতেই বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাড়াও আশপাশের বেশক’টি জেলা ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বাধীন ১১নং সেক্টরের হেড কোয়ার্টার স্থাপন করা হয়।
বিপরীতে জামালপুর জেলা সদরের পিটিআই ও ধানুয়া কামালপুরে হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে এ ১১নং সেক্টরের অনেক যুদ্ধই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেয়েছে।
যুদ্ধকালীন সময়ে হানাদার বাহিনীর অসংখ্য নৃশংসতার চিহ্ন আর বধ্যভূমি ছড়িয়ে আছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। জেলা সদরের পিটিআই হেড কোয়ার্টার, বর্তমান ওয়াপদা রেস্ট হাউস, আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল টর্চার সেল, ব্রহ্মপুত্রের তীরে শ্মশান ঘাট বধ্যভূমি এবং ফৌতি গোরস্থানসহ এসব বধ্যভূমিতে ধরে এনে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বাঙালিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
সরিষাবাড়ীর বারই পটল এলাকায় একদিনেই হত্যা করা হয় শতাধিক মুক্তিকামী বাঙালিকে। অবশেষে প্রাণপন যুদ্ধের পর ১০ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় জামালপুর। জামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই সূচিত হয় শেরপুর, ময়মনসিংহসহ ঢাকা বিজয়ের পথ। তবে এখনো এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর অরক্ষিত।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির।
এ ছাড়াও সারাদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করছে জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন