যদি জোট মনোনয়ন না পান বা নির্বাচিত হতে না পারেন তাহলে আগামীতে কী করবেন এমন প্রশ্নে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের অন্যতম প্রার্থী ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ্ বলেছেন, আমি তো আইনজীবী। আইনজীবীরা মারা না যাওয়া পর্যন্ত তাদের পেশা বহল থাকে। সেক্ষেত্রে রাজনীতি ও আইনজীবী পেশায় থাকতে চাই।
আসন্ন নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে আ.লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রের মোট ১২ প্রার্থী লড়াইয়ে নেমেছেন। আসনটির সংসদ সদস্য ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ্ দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাজোট থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারও মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেতে শেষ মুহূর্তে জোর তদবীর চালাচ্ছেন এ সংসদ সদস্য।
মুস্তফা লুৎফুল্লাহ্ ভোটের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে বলেন, ওয়ার্কাস পার্টিসহ আ.লীগের ৮০ ভাগ নেতাকর্মীরা এখনো চুড়ান্ত জোট মনোনয়নের অপেক্ষায় আছে। আমি নিজে জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। দশম সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোট পড়েনি তারপরেও ৯৯ হাজার ভোট পেয়েছিলাম। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে বিএনপির শক্ত প্রার্থী থাকার পরেও ৩ লাখ ৫০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। এবার আমার দল ও ১৪ দলীয় জোট যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি সেটাই মেনে নেব।
ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ্ সাতক্ষীরা জজ আদালতে আইনী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তার ভাগ্য খুলে যায়। ২০১৮ সালেও পেয়ে যান মহাজোটের নৌকার টিকেট। এবারও নৌকা প্রতীক চাচ্ছেন। তবে মহাজোট আসনটি এবার জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন চলছে। সেক্ষেত্রে জোট প্রার্থী হতে পারেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখ্ত। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সর্বমহলে।
আসনটিতে মোট ১২ জন প্রার্থী রয়েছে। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ নূরুল ইসলাম, এস.এম মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত, জাসদের প্রার্থী শেখ মো. ওয়াবাদুস সুলতান, ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ইয়ারুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম, মুক্তিজোটের প্রার্থী শেখ মো. আলমগীর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূরুল ইসলাম ও তৃণমূল বিএনপির সুমি।
মন্তব্য করুন