বিভিন্ন রকমের ঐতিহ্যে ভরপুর আমাদের এ বাংলাদেশ। আর পিঠা-পুলি হচ্ছে আমাদের বাংলার সংস্কৃতির একটা অংশ। গ্রামেগঞ্জে বাহারি পিঠার সমাহার থাকলেও শহরে এর প্রচলন খুবই কম। কিন্তু গ্রামের পিঠার কারিগরেরা দেশের সংস্কৃতি অথবা নিজের আয়ের উৎস মনে করে হলেও শহরের আনাচে-কানাচে বাহারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে যেন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। এতে করে শহরের ছেলে-মেয়েদের কাছে যেমন আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে সাথে আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হচ্ছে।
ডেমরার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক পিঠার দোকান রয়েছে। আর এসব দোকানে শিতের পিঠার ভীষণ চাহিদা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ডেমরা, হাজীনগর, সারুলিয়া, স্টাফকোয়ার্টার, বড়ভাঙ্গা, কোদালধোয়া, ডগাইর, ছোটমুরগীর ফার্ম, কোনাপাড়া, বাঁশের পূল, আমুলিয়া, পাড়া ডগাইরসহ প্রায় শ’খানেক পিঠার দোকান রয়েছে আরও বিভিন্ন এলাকায়।
এলাকার বিভিন্ন অলি-গলিতে শীতের পিঠার পসরা বসিয়ে দেদার বিক্রি করছে দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন মুখরোচক বাহারি নামের পিঠা-পুলি। এসব পিঠার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে চিতই পিঠা, এর সাথে ধনিয়া পাতার ভর্তা, সরিষার ভর্তা, শুটকির ভর্তা এবং কসানো গরুর মাংস। এ ছাড়া বাহারি নামের যেমন, ফুল পিঠা, পাতা পিঠা, চিতই পিঠা, শামুক পিঠা, পাটি শাপটা পিঠা, মালপুয়া পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, লবঙ্গজ্বল পিঠা, মিষ্টি পুলি, ঝাল পূলি, সিদ্ধ পূলি ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের পিঠার দোকানে সাধারণ মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ডেমরার সারুলিয়া এলাকার নোয়াখালী পিঠা ঘরের মালিক মোহাম্মদ নূর হোসেন নুরু বলেন, ডেমরা থানা এলাকায় আমাদের ৪টি পিঠার শো রুম রয়েছে। এছাড়া আমরা ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বিভিন এলাকায় পিঠা উৎসবে ডিসপ্লে করে থাকি। সেখানে আমাদের বেশ কয়েকটি পিঠার স্টল থাকে। এবার পিঠার বেশ চাহিদা রয়েছে। একে তো শীতের পিঠার আয়োজন, তার ওপর নির্বাচন সবমিলিয়ে এবার ব্যাবসা ভালোই হচ্ছে।
মন্তব্য করুন