রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, নৌকা সমর্থিত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মাইক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সমর্থকরা হামলা চালায় বলে নৌকার সমর্থকদের দাবি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মহিলা নেতাকর্মীদের নিয়ে পথসভা ও গণসংযোগে বের হন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী খন্দকার শায়লা পারভিন। হেঁটে সভাস্থলে যাওয়ার সময় বাগমারার আউচপাড়া ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা মাঠে পৌঁছালে তার নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কর্মী-সমর্থকরা। তার সঙ্গে থাকা নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এগিয়ে আসলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আল আমিন বিশ্বাস আলাল, হেলাল উদ্দিন মেম্বার ও জয়নালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে নৌকার সমর্থক যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন আহত হন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার প্রার্থীর প্রচার মাইকও ভাঙচুর করে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী খন্দকার শায়লা পারভিন বলেন, নারীদের নিয়ে পথসভা করতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা। নৌকা থেকে ছিটকে পড়া এমপি এনামুল ভোট বানচালের লক্ষ্যে সর্বহারা, সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের নিয়ে বাগমারায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হবে।
তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তার নিজের গাড়িবহরসহ বিভিন্ন এলাকায় তার কর্মীর ওপর নৌকার সমর্থকরাই হামলা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে তার স্ত্রী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজে বুধবার বিকেলে একই এলাকায় গণসংযোগ করে। নৌকার প্রার্থীর পক্ষের গণসংযোগে হামলা হয়েছে এমন খবর পেয়ে হাটগাঙ্গপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। হামলার একটি মৌখিক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন