বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তার ভাইকে আদালতে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও যুগ্ম জেলা জজ জাহিদুল ইসলাম পৃথক তিনটি নোটিশে এ আদেশ দেন।
বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপুকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়, আপনি ও আপনার কর্মী সমর্থকরা গত ২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় বগুড়া শহরের খান্দার মোড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে কারমাইকেল সড়কের ওপরে নৌকা প্রতীকের পক্ষে এক নির্বাচনী সমাবেশ আয়োজন করেন। এতে জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় যা পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। পরে ঘটনাটি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির নজরে আসে। এ ছাড়া নির্বাচনী জনসভার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ক্লিপ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির হাতে আছে। আপনার এ কর্মকাণ্ড সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধির ৬ (ঘ) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কেন আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না তা বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ ছাড়াও বগুড়া-৬ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ও তার ভাই সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপুকে দেওয়া পৃথক নোটিশে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি সকালে শহরের আটাপাড়ায় ঈগল মার্কার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পে সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর পক্ষে স্থানীয় কিছু ভোটারদের একত্রিত করে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে নগদ জনপ্রতি ৫০০ টাকা বণ্টন করেন, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধির ১১ (৬) ও (ঙ) সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কেন আপনাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর সুপারিশ করা হবে না তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বগুড়া-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সহকারী মশিউর রহমান বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বগুড়া সদর আসনের দুই প্রার্থীসহ তিনজনকে তলব করা হয়েছে। তাদের লিখিত জবাব পাওয়ার পর বিচারক আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ আসনে মোট ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা ও ঈগলের প্রার্থী ছাড়া অন্যরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান (ট্রাক), জাকের পার্টির ফয়সাল বিন শফিক (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির আজিজ আহম্মেদ (লাঙল) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শহিদুল ইসলাম (আম) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন