কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সুনামগঞ্জে নৌকার স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘুর বোরো জমিতে মই!

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রোপণকৃত বোরো জমিতে মই। ছবি : কালবেলা
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রোপণকৃত বোরো জমিতে মই। ছবি : কালবেলা

সুনামগঞ্জের শাল্লায় নৌকার স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রোপণকৃত বোরো জমিতে মই দিয়ে নষ্ট করেছে একদল দুর্বৃত্ত। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা আলীগের সহসভাপতি প্রয়াত রবীন্দ্র কুমার বৈষ্ণবের ছেলে রঞ্জন কুমার বৈষ্ণবের প্রায় এক হেক্টর রোপণকৃত বোরো জমিতে জোরপূর্বক মই দিয়ে ১০০ মণ উৎপাদিত ধানের ক্ষতি করা হয়।

এ ঘটনায় রঞ্জন কুমার বৈষ্ণব বাদী হয়ে শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে থেকে জানা যায়, প্রায় ৮৫ বছর যাবৎ ওই জমি তার পূর্ব পুরুষরা বোরো আবাদ করে আসছেন। পূর্ব পুরুষদের স্বত্ত্ব দখলীয় জমি ভুলবশত আরএস সেটেলমেন্ট জরীপে কুড়ি শ্রেণি হিসেবে সরকারের খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় রঞ্জন কুমার বৈষ্ণব আদালতে স্বত্ত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন। যা আদালতে বিচারাধীন। আদালত থেকে ওই জমির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়নি।

কিন্তু নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎ শাল্লা ইউপির কান্দিগাঁও (শান্তিনগর) গ্রামের অর্ধশত মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে ১০০ মণ উৎপাদিত ধানের রোপণকৃত জমিতে মই দিয়ে নষ্ট করে ফেলে।

এ বিষয়ে রঞ্জন কুমার বৈষ্ণব বলেন, আমি ড. জয়া সেনগুপ্তার সমর্থক। গত ৪জানুয়ারি শাল্লা সদরে ড.জয়া সেনগুপ্তার জনসভায় প্রায় ১২-১৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়। আমার ভেড়াডহর গ্রাম থেকে আমার নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল আসে জনসভায়। এটিকে পুঁজি করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ও হিন্দু সম্প্রদায়কে আতঙ্কিত করার জন্যই এ চক্রটি আমার ক্ষেত নষ্ট করেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় আব্দুস ছাত্তার মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এ কাজটি যারা করেছে তারা ভালো করেনি। সরকারের জায়গা হলে সরকার দেখবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়া অপরাধ। জমি কার কাগজ প্রমাণ করবে কাগজ।

বাহাড়া ইউপি সদস্য ইন্দ্রজিৎ বৈষ্ণব বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ কাজটি করা মানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করা।

স্থানীয় গৌতম বৈষ্ণব বলেন, আমরা গত ৪ জানুয়ারি ড. জয়া সেনগুপ্তার সমর্থনে একটি বড় মিছিল ভেড়াডহর গ্রাম থেকে শাল্লা সদরে জনসভায় যাই। কাঁচি প্রতীকের সমর্থনে মিছিল নিয়ে যাওয়ায় কান্দিগাঁও গ্রামের নতুনহাটির মানুষ ফসলের ক্ষতি করে এ ঘৃণ্যতম কাজটি করেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাল্লা ইউপি সদস্য তৌমুর রহমান বলেন, ফসলের ক্ষেত নষ্ট করা চরম অন্যায় কাজ।

এ ঘটনায় উপজেলার শাল্লা ইউপির কান্দিগাঁও-শান্তিনগর গ্রামের মমিন মিয়া, নূর আলম, আরজু মিয়া, মুজিবুর রহমান, বজলু মিয়া, সাদ্দাম হোসেনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অজ্ঞান আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শাল্লা থানার ‍ওসি মিজানুর রহমান বলেন, জমিটি খাস জায়গা। তবে আবাদকৃত জমি ক্ষতি করা যাবে না। এখনো এ নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদ্রাসায় চালু হলো নতুন সাবজেক্ট

মুরাদনগরে বিষাক্ত স্পিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু

প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, থানায় মামলা

কুষ্টিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রাণ ভোমরারা হতাশ হয়েছেন : নুর

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার চট্টগ্রামে সাংবাদিককে গলা টিপে হত্যাচেষ্টা

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

এনসিপির হয়ে নির্বাচন করব কিনা সিদ্ধান্ত নেইনি : আসিফ মাহমুদ

সবাইকে টেস্ট খেলানো জরুরি নয় : জোরাজুরিতে দেউলিয়ার শঙ্কা

১০

প্রবাসেও আপ বাংলাদেশের কমিটি ঘোষণা 

১১

ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায়

১২

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে আর্থিক সহায়তার চেক দিল যমুনা অয়েল

১৩

অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা-অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

১৪

৩০০ আসনে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে গণতন্ত্র মঞ্চ 

১৫

ড্রোন শো পরিচালনার প্রশিক্ষণে চীন যাচ্ছেন ১১ জন

১৬

সামাজিক কাজে অবদান রাখায় নিবন্ধন পেল প্রভাত

১৭

স্বাস্থ্যের ডিজির আশ্বাসে মন গলেনি, নতুন কর্মসূচি ছাত্র-জনতার

১৮

শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান

১৯

পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন হতে হবে : চরমোনাইর পীর

২০
X