মাগুরা-২ আসনে নৌকার মাঝি ড. বীরেন শিকদার পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ফল ঘোষণা করেন।
মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. বীরেন শিকদার নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মুরাদ আলী লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ হাজার ২৬২ ভোট পেয়েছেন।
মাগুরা-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মুরাদ হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, তৃণমূল বিএনপির সোনালি আঁশ প্রতীকে আখিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) একতারা প্রতীকে মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান ও একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিউর রহমান ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পঞ্চমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হওয়ায় সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, মহম্মদপুর-শালিখা উপজেলার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মাগুরা-২ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামান নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে ২৫ ডিসেম্বর তার মৃত্যুর পর এ আসনটি ১৯৯৪ সালে ২০ মার্চ বিএনপির নেতৃত্বে বিতর্কিত উপনির্বাচনের মাধ্যমে শিল্পপতি কাজী সালিমুল হক কামালকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। আলোচিত এ নির্বাচনের কারণে দেশব্যাপী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির কাজী সালিমুল হক কামাল নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৬ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আওয়ামী লীগের ড. বীরেন শিকদার নির্বাচনে নির্বাচিত হন। তবে ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুজ্জামান বাচ্চুকে পরাজিত করেন বিএনপির কাজী সালিমুল হক কামাল। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে ড. বীরেন শিকদার নির্বাচিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন