মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে আকাশে ঘন কুয়াশা ছিল না। সূর্যের আলো দেখা মিললেও কনকনে শীত কমেনি। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় কাবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকায় সকাল থেকে দেখা মেলনি সূর্যের। শীতের এমন তীব্রতায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষজন। এতে চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো।
কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। কয়েক দিন ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। সকালের পর সূর্যের আলোর দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে পথঘাট।
আবহাওয়া কার্যালয়ে সূত্র জানায়, ৯ জানুয়ারি সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকড করা হয়।
জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক পরিমল বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আমরা শীতের কারণে ঠিকমতো কাজও করতে পারছি না। কিন্তু সরকারিভাবে এখনো গরিব-দুখী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়নি।
অটোচালক করিম ইসলাম বলেন, কদিন আগে টানা দুদিন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এরপর শীত শুরু হয়। এর সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস। মানুষ বের হতে পারছেন না। আজ সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে একটা ভাড়াও পাইনি। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের চলাচল কমে গেছে। এখন আমাদেরও আয় কমে যাবে। একদিকে বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তি। আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে পড়বে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগী করলে আমরা উপকৃত হতাম।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক বিপ্লব চন্দ্র দাস জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এমন আবহাওয়া আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন