পৌষের শেষে হাড়কাঁপা শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী মানুষজন। দিনে সূর্যের দেখা নেই। দিন রাতে প্রায় সমানতালে বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। কাবু হয়ে পড়েছে চর এলাকার জনজীবন। চরের মানুষজন কৃষি কাজের ওপর নির্ভর। ফলে কনকনে ঠান্ডায় চরের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছে বিপাকে। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না, কোনো কাজ করতে পারছে না। এদিকে হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় শীত আরও বেশি পড়ছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে পুরো জেলার মানুষজন। এদিন দুপুরে জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দিন-রাত প্রায় সমান ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। অভাবী মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট পাচ্ছে। তারা খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। প্রচণ্ড শীতে বয়োবৃদ্ধ মানুষজন ও শিশুরা ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে, দীর্ঘ হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। সদর উপজেলার তিস্তা গোকুন্ডা এলাকার কৃষক আব্দর রহিম জানান, ঠান্ডায় আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। কোনো কাজ কাম করতে পারছি না। পয়সার অভাবে শীতের কাপড় কিনতে পারি নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছি।
লালমনিরহাট পৌরসভার রেলওয়ে স্টেশন এলাকার আলম মিয়া বলেন, কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় বেশি ঠান্ডা পরছে। হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে প্রচণ্ড শীতেও কাজে বের হয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য ২৪ হাজার কম্বল রয়েছে । এগুলো ৫ উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। তিস্তার চরসহ বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন