চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরিঘাটে প্রকাশ্যে জমজমাটভাবে চলছে জাটকার কেনাবেচা। আর এ কেনাবেচা প্রতিরোধে তৎপরতা নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের। সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে হরিণা ফেরিঘাটে গেলে প্রকাশ্যে জাটকা কেনাবেচা চলতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মাছের দরদাম যাই হোক। ওপেন নিলামে বাইর থেকে আসা যে কেউ মাছ কেনায় অংশ নিতে পারে বলে সুখ্যাতি রয়েছে হরিণা ফেরিঘাটের এ আড়তটির। এটি চাঁদপুর সদরের হানারচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। তবে জাটকা কেনাবেচা বন্ধে এ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হারুনের কোনো পদক্ষেপ নেই বলেও আক্ষেপ সচেতনদের।
হরিণাঘাটের আড়তদার সেরাজাল শেখ, রাশেদ, ফারুকসহ আরও ১০-১২ জন বলেন, প্রতিদিন সকাল ৬টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এ আড়তে মাছ কেনাবেচা হয়। তবে এখানে বেশিরভাগ মানুষ আসেন পদ্মা-মেঘনার টাটকা ইলিশ কিনতে। এখানে প্যাকেজিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় সহজেই মাছ পরিবহন করা যায়। তবে বড় ইলিশ নদীতে না পাওয়া যাওয়ায় জেলেরা যখন যা আনে আমরা তাই বিক্রি করি।
তৎপরতা নিয়ে হারুন মেম্বার বলেন, আমার কথা কেউ শোনে না। এগুলো দেখবে নৌ পুলিশসহ অন্যরা। আমি জাটকা কেনাবেচার পক্ষে নই। আমিও চাই ইলিশ বড় হোক এবং এরপর কেনাবেচা চলুক।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদরের হরিণা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, নদীতে জাটকার কোনো বিষয় থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা তো নদীর ওপরে। তবুও আমরা উর্ধ্বতনকে জানিয়ে কী করা যায় দেখব।
মন্তব্য করুন