হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের প্রত্যক্ষ মদদে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীসহ সহোদরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেছে তার পুত্র ও স্বজনরা। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটায় পৌরশহরের আজিমনগরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আহতরা হলেন আজিমগর লম্বাহাটির বাসিন্দা ও আজিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী জুজু মিয়া (৩০) এবং তার সহোদর মেহেদি হাসান (২৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আজিমনগর লম্বাহাটীর মাহবুব আলমকে (মাক্কু) নিয়ে তার ছোট পুত্র আলিনের কাছে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীরের ভাতিজা আপন মিয়া কটু কথা বলে। তখন আলিনের বড় ভাই মাহাতি আপনকে থাপ্পড় মারে। এরই জের ধরে রাত ৯টার দিকে মুন্সিহাটিতে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে তার পুত্র ও স্বজনরা মাহাতিকে একদফা মারধর করে। মাহাতি বাসা থেকে মুন্সিহাটিতে যাচ্ছিল। এ সময় মাহাতি দৌড়ে তার এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। রাত সাড়ে নয়টায় মাহাতির মামাতো ভাই জুজু এবং মেহেদি আত্মীয়ের বাসা থেকে মাহাতিকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে জাহাঙ্গীরের পুত্র ও স্বজনরা তাদের ওপর আবারো হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে প্রতিবন্ধী জুজু ও তার সহোদর মেহেদি হাসানের মাথায় দায়ের কোপে জখম হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বিষয়টি জানাজানি হলে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন