পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পার্বতীপুরে ৮৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও তার অবস্থা বড়ই করুণ। ছবি : কালবেলা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও তার অবস্থা বড়ই করুণ। ছবি : কালবেলা

দুদিন বাদেই ২১ ফেব্রুয়ারি। ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। বিদ্যালয় আছে তবে নেই শহীদ মিনার। তাই হয় না একুশে ফেব্রুয়ারির কোনো আয়োজন। নিজস্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে না শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ভাষাসৈনিকদের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও প্রকাশের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পার্বতীপুরের প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী।

যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ৮৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো নির্মাণ করা হয়নি স্থায়ী শহীদ মিনার।

এদের মধ্যে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে তাদের বেশিরভাগই জরাজীর্ণ। দ্বীপশিখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও তার অবস্থা করুণ। অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমূল্য চন্দ্র রায় শহীদ মিনার সংস্কারের জন্য কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসে ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি বলে জানান।

উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাদ্রাসা, কলেজ ও কারিগরি কলেজ মিলে ১২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। প্রায় ১৫০ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার নেই। ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও কমিটির সভাপতিকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তারপরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শহীদ নির্মাণ করেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমার স্কুলের পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে আমাদের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারছে না।

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইট-সিমেন্টের মানসম্মত শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলার ৫১টি মাধ্যমিক ও ৩২টি মাদ্রাসা পর্যায়ের মোট ৮৩টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।

পার্বতীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনামুল হক সরকার বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। কয়েক বছর আগে উপজেলার ২০৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

পার্বতীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক প্রধান বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়ার পরও তারা নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাউশির নির্দেশনার বিষয়ে অবগতও করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের আদেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। প্রয়োজনে নিজেদের উদ্যোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন মাউশি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে পোশাক কারখানার গুদামে আগুন

সপ্তাহে দুদিন ছুটিসহ নিয়োগ দিচ্ছে পপুলার

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

সার্ভিস এক্সপার্ট পদে নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ালটন

আড়ং-এ বড় নিয়োগ, এইচএসসি পাসেই পার্টটাইম চাকরির সুযোগ

২৬ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

স্টিমরোলার নির্যাতনেও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হইনি : মির্জা ফখরুল

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

২৬ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

কড়াইল বস্তির আগুনে দেড় হাজার ঘর পুড়েছে : ফায়ার সার্ভিস

১১

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

১২

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

১৩

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

১৪

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

১৫

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

১৬

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

১৭

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

১৮

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

১৯

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

২০
X