

বাড়ছে দূষণ, কমছে ফুসফুসের শক্তি—এমন বাস্তবতায় নিজের শ্বাসযন্ত্র ঠিক আছে কি না তা বোঝা বেশিভাগ সময়েই কঠিন হয়ে পড়ে। ধূমপান বা প্যাসিভ স্মোকিংয়ের প্রভাব, শহরের ঘন ধুলো-ধোঁয়া আর লুকিয়ে থাকা জিনগত সমস্যায় অনেকের ফুসফুস ভেতর ভেতর দুর্বল হয়ে পড়ে, যা শুরুতে টেরই পাওয়া যায় না। যখন বোঝা যায়, তত দিনে শরীরে জায়গা করে নেয় হাঁপানি, সিওপিডি বা অ্যাজমার মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগ। তবে সুখবর হলো, বাড়ির মধ্যেই মাত্র ৬০ সেকেন্ডের একটি সহজ পরীক্ষায় মিলতে পারে আপনার ফুসফুসের কার্যক্ষমতার প্রাথমিক ধারণা। কোনো ঝামেলা নেই, ব্যয় নেই, শুধু একটু সময় দিলেই জানা যাবে আপনার শ্বাসযন্ত্র কতটা সুস্থ।
কী পরীক্ষা?
বাড়িতে শান্ত মনে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসুন। ভালো হয় যদি মাটিতে পদ্মাসনে বসতে পারেন। এবার ধীরে ধীরে একটা লম্বা শ্বাস নিন। শ্বাস নিয়েই সঙ্গে সঙ্গে তা ছেড়ে দেবেন না।
অন্তত ৬০ সেকেন্ড সেই শ্বাস ধরে রাখুন। তার পর ৬০ সেকেন্ড হয়ে গেলে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছেড়ে দিন।
কীভাবে বুঝবেন সমস্যা আছে কি না
এই এক মিনিট শুধু শ্বাস ধরে রাখলেই হবে না, খেয়াল রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়ে-
১. শ্বাস ধরে রাখার সময় বুকে টান লাগছে কি না।
২. হালকা দম বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি হচ্ছে কি না।
৩. শ্বাস নিতে বা ছাড়তে অস্বস্তি হচ্ছে কি না।
৪. নাক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নেওয়া যাচ্ছে কি না।
৫. মাঝপথে হাঁপ ধরা, কাশি বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন কি না।
এগুলো হলে সতর্ক হোন। কারণ এসবই হতে পারে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত।
এই পরীক্ষা থেকে কী জানা যায়?
ফুসফুসে শরীরে কতটা ভালোভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে তার একটি ধারণা পাওয়া যায়। যদি ধীরে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, তা হলে শ্বাসনালী সংবেদনশীল হতে পারে। থাকতে পারে হাঁপানি। হতে পারে শ্বাস-প্রশ্বাসের পেশি দুর্বল।
বারবার কাশি হওয়ার অর্থ শ্বাসনালিতে প্রদাহ হয়েছে। যদি নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে সমস্যা হয়, তা হলে ফুসফুসের প্রাথমিক ব্লকেজের লক্ষণ হতে পারে। যার একটা বড় কারণ অ্যাক্টিভ বা প্যাসিভ স্মোকিং।
এই পরীক্ষার সময় অস্বস্তি বা হাঁপের টান অনুভব করলে সতর্ক থাকুন। এই সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হয়ে গেলেও তা ভালো লক্ষণ নয়। এমন ক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ধূমপান-মদ্যপানের মতো বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন