বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাকেরগঞ্জে বসন্তের শুরুতেই প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে

প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে। ছবি : কালবেলা
প্রকৃতি সেজেছে শিমুল ফুলে। ছবি : কালবেলা

বাকেরগঞ্জে ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফুটছে বাংলার চির চেনা রক্ত লাল শিমুল ফুল। শীত বিদায় নিচ্ছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। মৃদু হাওয়ায় নাকে ভেসে আসছে শিমুল ফুলের ঘ্রাণ। প্রকৃতিতে এখন এমনি রুপ। প্রকৃতিতে বইছে দখিনা বাতাস। কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতানে ফাগুনের উত্তাল হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে জেগে উঠেছে সবুজ পাতা।

গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল, ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনী বার্তা। আম, লিচু, লেবুসহ বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। এখন আর আগের মতো খুব একটা চোখে পড়ে না ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ।

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা মিললো বেশ কয়েকটি ফুটন্ত ফুলের রক্তলাল শিমুল গাছ।

গ্রামে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামাঞ্চলের মানুষ বিষ ফোঁড়া ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে এ গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারণ করে। বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙে ফোটে, দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মনে। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলা তৈরি হয়।

গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিতো। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে।

কিন্তু বর্তমানে শিমুল তুলা গাছ কারণে-অকারণে কেটে ফেলছে মানুষ। অতীতে নানা ধরনের প্যাকিং বাক্স তৈরি ও ইটভাটার জ্বালানি, দিয়াশলাইয়ের কাঠি হিসেবে ব্যবহার হলেও সেই তুলনায় গাছ রোপণ করা হয়না। বর্তমানে শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, আর গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে তৈরি তুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাপাশ তুলা ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাকেরগঞ্জে আগের মতো তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছ। প্রতিনিয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ গাছ। যার কারণে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা শিমুল গাছ।

এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা মনিন্দ্র হালদার বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এখন দেশের কোথাও এই শিমুলগাছ বা তুলা চাষ করা হয় না। এটি প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠে। ফলে শিমুলগাছ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে মানুষ আসল তুলার মর্ম বুঝতে সক্ষম হতো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এক রাতেই যেভাবে শেষ হয়েছিল পুরো রাজপরিবার

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ১০ম থেকে ১২তম গ্রেডে চাকরি

নিউইয়র্কে প্রবাসীদের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘বন্ধন’র প্রচারণা

ভারতই আনার হত্যার মূল তদন্ত করবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

খাবার দিতে অস্বীকৃতি, স্ত্রীকে টুকরো টুকরো করলেন স্বামী

গাজায় যুদ্ধ বন্ধ চান বাইডেন, দিলেন ৩ স্তরের পরিকল্পনা প্রস্তাব

আ.লীগ নেতার উদ্দেশে ছোঁড়া গুলি কলেজছাত্রের পায়ে

‘খামারিদের পাশে নেই অধিদপ্তর, ঘুষ ছাড়া মেলে না পশুর চিকিৎসা’

নিয়োগ দেবে ভিস্তা, আবেদন করুন অনলাইনে

নীরবে লাগামহীন আদা-রসুনের বাজার

১০

র‍্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ২০ সদস্য আটক

১১

প্রেমিকা খুঁজে দিতে পুলিশের কাছে আবেদন, অতঃপর…

১২

ইস্টার্ন ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, আবেদন শেষ ১০ জুন

১৩

দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত

১৪

নবীনদের চাকরি দেবে যমুনা গ্রুপ, বেতন ১৫ হাজার

১৫

সাতক্ষীরায় মরা গরুর মাংস বিক্রি

১৬

৩০ পদে চাকরি দেবে এসিআই গ্রুপ, অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন

১৭

গরুর খামার করেই পাঁচতলা বাড়ির মালিক সোলাইমান

১৮

৩০ জুনেই হবে এইচএসসি পরীক্ষা

১৯

মালাইকা অর্জুনের সম্পর্ক ভাঙেনি

২০
X