দিনাজপুরের পার্বতীপুরে কাঁচামরিচ বাজারে মারাত্মক ধস নেমেছে। কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) পার্বতীপুরের বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মাত্র এক মাস আগে পার্বতীপুরে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম ৮০-১০০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হয়। সে সময় কৃষকদের মুখে হাসি থাকলেও নাভিশ্বাস ওঠে ক্রেতাদের। এক মাস পর মঙ্গলবার পার্বতীপুরের বাজারে সেই কাঁচামরিচ এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। জমি থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে যে শ্রমিক মজুরি গুণতে হচ্ছে, সেই টাকা উঠছে না বলে দাবি করেছেন মরিচ চাষিরা।
উপজেলায় এবার চলতি রবি মৌসুমে প্রায় ৯২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ বেশি।
উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বড়হিরপুর পোদ্দারপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি নীতেশ মহন্ত, পুতুল রানী ও পোদ্দার শাহা পাড়ার মিজানুর জানায়, জমি থেকে মরিচ তুলতে একজন মহিলা শ্রমিককে ২০০ টাকা দিন মজুরি দিতে হয়। সেই শ্রমিক সারা দিনে ১৫ কেজি মরিচ জমি থেকে তুলতে পারে। মরিচ বিক্রি করে শ্রমিক মজুরি টাকায় তোলা যাচ্ছে না। মরিজ পাইকারদের কাছে বিক্রি করছি ৫-৭ কেজি।
পার্বতীপুর শহরের বাজারের কাঁচা মালের ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, রমজান মাস তার ওপর আবহাওয়া ভালো থাকায় মরিচের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। এর ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে।
বসিরবানিয়া বাজারের ক্রেতা খালেকুল জ্জামান বলেন, কাঁচামরিচের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। মরিচ কিছুদিন আগেও বেশি দামে কিনতে হয়েছে।
পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজার কাঁচামরিচ পাইকারি আড়ৎদার ইব্রাহিম খলিল জানায়, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে। আড়ত থেকে খুচরা বিক্রেতারা ৮-১০ টাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাজিব হাসান জানান, কাঁচা মরিচের উৎপাদন বেশি সেজন্য বাজারে এখন চাহিদা না থাকায় মরিচের মূল্য কমেছে।
মন্তব্য করুন