বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনে গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রী সাদিয়া জান্নাত। এমন ঘটনায় আত্মগোপনে রয়েছেন প্রেমিক।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সাদিয়া জানান, দেড় বছর আগে মিজানুর রহমান তৈয়বের সঙ্গে একটি চাকরির পরীক্ষায় পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের জের ধরেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চাকরি হলে মিজান তাকে বিয়ে করবেন এমন আশ্বাসে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
তিনি জানান, নিজের আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসা সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছিলেন চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান তৈয়বকে। কিন্তু প্রেমিকের সরকারি চাকরি হওয়ার পর একজনকে বিয়ে করতে প্রস্তুতি নেন। বিষয়টি জেনে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন প্রেমিকা সাদিয়া জান্নাত।
সাদিয়া বলেন,
বিয়ে হবে নতুবা এই বাড়িতে হবে আমার কবর ! বিয়ে করবেন বলে প্রতারণা করায় ছেলের বাড়িতে এসে মেয়েটি অনশন করে।
ইডেন কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করা সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, মিজানুর রহমান তৈয়ব আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। সরকারি চাকরি হওয়ায় এখন আর আমাকে বিয়ে করতে চায় না এবং ফোন রিসিভ করছে না, তাই আমি ১২ এপ্রিল প্রথম অনশন শুরু করি। স্থানীয় থানা প্রশাসন এবং চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সমঝোতার তারিখ থাকলেও সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ। তাই দ্বিতীয়বার ওমরপুর তার বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছি।
চরফ্যাশন থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশনকারী সাদিয়াকে মিজানের বাবার জিম্মায় রেখেছেন।
মিজানের বাবা মোজাম্মেল হক হাওলাদার জানান, মেয়ে বাড়িতে আসার আগ পর্যন্ত তিনি কিছুই জানতেন না। ছেলে ঢাকায় থাকে। এটি ছেলে-মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয়।
মন্তব্য করুন