আসন্ন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচনক ও সংসদ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হতে চলেছে শৈলকুপা। ভোটকে কেন্দ্র করেই চলে সামাজিক দলে যোগদান ও দল ভাঙ্গাগড়ার খেলা। এরই সূত্র ধরে সংঘর্ষ ও অতর্কিত হামলার ঘটনা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের ৫৫টি উপজেলার নির্বাচনও ওইদিন অনুষ্ঠিত হবে।
এ নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে শৈলকুপা। কারও সামাজিক দল ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগদান করলেই এ নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে আবু সাঈদ বিশ্বাস (৪৫) নামের একজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত আবু সাঈদ বিশ্বাস শৈলকুপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের কুশবাড়িয়া গ্রামের মৃত তফসের আলী বিশ্বাসের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কুশবাড়িয়া মুনসুর খার মোড়ে আতিয়ার খার ওষুধের দোকানে বসা ছিল আবু সাঈদ। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। আহত আবু সাঈদ বিশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর সমর্থক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলাম দুলালের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন।
তিনি কুশবাড়িয়া গ্রামের সামাজিক মাতব্বর জাকির খা ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের কর্মী বলে জানা যায়। তার নেতৃত্বে আগামীকাল সামাজিক দলে বেশ কিছু লোকজন যোগাযোগ করার কথা ছিল। হামলাকারীরা ধলহরচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের লোকজন ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম মোল্লার সমর্থক বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে কুশবাড়িয়া গ্রামের মনসুর খার মোড়া এ ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন