খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খুলনায় দুই জেএমবি সদস্যের ১০ বছরের কারাদণ্ড

সাজাপ্রাপ্ত নব্য জেএমবির দুই সদস্য। ছবি : সংগৃহীত
সাজাপ্রাপ্ত নব্য জেএমবির দুই সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

খুলনায় নব্য জেএমবির দুই সদস্যের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে খুলনা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রোজিনা আক্তার ওই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯-এ (সংশোধিত-২০১৩) তিনটি ধারায় তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই আইনের ৯ ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই আইনের ১০ ধারায় প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

সাজাপ্রাপ্ত ওই দুজন হলেন- নুর মোহাম্মদ ও মো. মোজাহিদুল ইসলাম। নুরের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। মোজাহিদুলের বাড়ি বগুড়া জেলায়। গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তারা দুজনই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে নুর মোহাম্মদ ছিলেন বিবিএ চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আর পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন মো. মোজাহিদুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তারা দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে তারা দুজন ঢাকার নীলক্ষেতে অবস্থিত আইসিএমএবি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। বয়স ও ভবিষ্যৎ বিবেচনায় ওই দুই জঙ্গি যেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ের আদেশে বিচারক বলেছেন, সব সাজা একসঙ্গে চলবে। তা ছাড়া যতদিন আসামিরা হাজতে ছিলেন তা তাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে। আইসিএমএবি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ও খুলনা জেলসুপারকে নীতিমালার মধ্যে থেকে ওই দুই জঙ্গি যাতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. শওকত আলী বলেন, ওই দুজন নব্য জেএমবি দলের সদস্য ছিলেন তা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণার ক্ষেত্রে বিচারক তাদের বয়স ও মেধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন।

খুলনা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সহকারী দীপন কুমার মণ্ডল বলেন, ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি রাতে খুলনা নগরের গল্লামারী এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে নূর মোহাম্মদ ও মো. মোজাহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরদিন ২৫ জানুয়ারি ওই ঘটনায় দুজনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন তৎকালীন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রহিত কুমার বিশ্বাস। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কেএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. এনামুল হক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে মামলাটি খুলনা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয় গত বছরের ১৬ নভেম্বর। এরপর ওই আদালতেই মামলাটির বিচারকাজ চলেছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নড়াইলে সাংবাদিকদের মিলনমেলা

‘তিন মাসের মধ্যে ৬ লেনের কাজ দৃশ্যমান হবে’

শাবিপ্রবির ২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত

ওমরজাইয়ের বোলিং তোপে বিপদে বাংলাদেশ

প্রবীণদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে : টুকু

শুধু বক্তব্যে নয়, বাস্তব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বিএনপি মানুষের পাশে রয়েছে : আনোয়ারুজ্জামান

গুম-খুনে জড়িতদের সঙ্গে আপস নেই : আখতার হোসেন

বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান দুলুর

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার

গুম-দুর্নীতি বন্ধে ধানের শীষে ভোট দিন : আশিক

১০

গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ, ভাইয়ের পর চলে গেল বোনও

১১

ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাল নামিবিয়া

১২

জিয়া পরিবারের ত্যাগ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য : কফিল উদ্দিন

১৩

বিএনপিকে ঘায়েল করতে চতুর্দিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : মির্জা ফখরুল

১৪

‘গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে হতে হবে’

১৫

মার্কস অলরাউন্ডার প্রতিযোগিতায় ব্যাপক সাড়া

১৬

নেইমারকে দলে টানতে মরিয়া ইন্টার মায়ামি

১৭

ডিজিএফআই বিলুপ্তের পরিকল্পনা নেই সরকারের : প্রেস সচিব

১৮

বিএনপির মনোনয়ন বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : সালাউদ্দিন আহমদ

১৯

ময়মনসিংহ-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ

২০
X