সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
মো. আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৪, ০৯:২১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পাহাড়ে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়ার নান্দনিক সৌন্দর্য

কৃষ্ণচূড়া ফুল। ছবি : কালবেলা
কৃষ্ণচূড়া ফুল। ছবি : কালবেলা

তীব্র তাপপ্রবাহে পাহাড়ের জনজীবন যখন ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই একটি কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়ায় বসে পথিক এক মুঠো সুখ অনুভব করে। একইভাবে তার অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে। গাছটির নিছে বসে দূর আকাশে তাকিয়ে মৃদু বাতাসে কবিতা লিখতে পারার দক্ষতা আপনার মনে নতুন স্বপ্ন জাগিয়ে তুলতে পারে। এগুলো খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিভিন্ন স্থানে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছের ফুলের সৌন্দর্যের কথা।

গ্রীষ্মের খরতাপে রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়ার ফুল মেলে ধরেছে নিজের সৌন্দর্য। গাছের ডালপালাজুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরূপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা।

মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন জনপথ ও বসতবাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়েছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়ার জৌলুস। থোকায় থোকায় ফুল ফুটেছে গাছে। সবুজের বুকে এক খণ্ড লালের রাজত্ব। দূর থেকে দেখে মনে হয় ময়ূর প্রকৃতির মাঝে রাঙা পেখম মেলে ধরেছে। আর এসব কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন ফুলপ্রিয় পথিক। কেউ তুলছেন ছবি কেউবা সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের উপরে ও সম্মুখে, সরকারি ডিগ্রি কলেজের সম্মুখভাগে, পৌরসভার প্রবেশ পথ, চৌরাস্তার ধারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সৌরভ ও সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই ফুল। এই গাছ চমৎকার পাতা পল্লব আর আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া-ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল-কমলা-হলুদ ফুল ও উজ্জ্বল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।

কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এটি সিসালপিনিয়েসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ। কৃষ্ণচূড়া লাল, হলুদ ও সাদা রঙেরও হয়ে থাকে। তবে আমাদের দেশে লাল ও হলুদ রঙের ফুল দেখা গেলেও সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়া দেখাই যায় না।

মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা জানান, কলেজে যেতেই চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছটি। বিশ্রামের ছলে খানিকটা সময় দাঁড়িয়ে তার সৌন্দর্য অনুভব করি। লাল সবুজের মিলনে রক্তিম আভা ছড়ানো কৃষ্ণচূড়া ফুল যেন নিজেদের জীবনে ছড়িয়ে দেয় মুগ্ধতা।

উপজেলায় সেবা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন, এক সময় এরকম গাছ বহুত আছিল, মাইনসে সব গাছ কাইট্টা ফালাইছে এখন আর আগের মতো কৃষ্ণচূড়া গাছ দেহা যায় না।

মাটিরাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান লস্কর জানান, কৃষ্ণচূড়া মূলত তিন জাতের হয়। বেশির ভাগ লোক এর নাম কৃষ্ণচূড়া হিসেবে জানলেও এর অপর নাম গুলমোহন। কৃষ্ণচূড়া ফুল থোকায় থোকায় গাছের ডালে পর্যায়ক্রমে ফুল ফুঁটতে থাকে। সৌন্দর্য বর্ধণে পরিবেশবান্ধব কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশাপাশি অন্যান্য গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১০

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১১

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১২

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৩

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

১৪

রাবির দুই শিক্ষককে বিভাগীয় সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি

১৫

এ দেশ সবার, কারো একার না : সালাউদ্দিন বাবু

১৬

‘স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় না গিয়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে ফিরে যান’

১৭

ফাইনাল জিততে বাংলাদেশের দরকার ১২৬ রান

১৮

শাহজাহানের বক্তব্য সমর্থন করে না জামায়াত

১৯

আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’, নামের অর্থ জানুন

২০
X