হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কাবিখা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি প্রকল্পে আত্মসাতের অভিযোগে লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) হবিগঞ্জ স্পেশাল জজ ও দায়রা আদালতে মামলাটি করেন লাখাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

মামলার বাদীর আইনজীবী এমএএএম গাউছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়, তারা হলেন- চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ, সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূর, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোমান সারওয়ার জনি, বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফুরুক, করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ ও খোকন চন্দ্র গোপ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ ও সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরের সুপারিশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ প্রকল্পে ৫৪০ টন চাল বরাদ্দ হয়। যার মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আসামিরা প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, বরাদ্দ গ্রহণ ও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বাস্তবে ওই প্রকল্পগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। মাঝখানে প্রকল্পের যাবতীয় কাগজ তৈরি ও ভুয়া তথ্য যুক্ত করে প্রধান/নির্বাহী ব্যক্তি হিসেবে স্বাক্ষর দিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

মামলার বাদী লাখাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে লাখাই উপজেলার কাবিখা প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বোঝা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দেশের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেওয়া যায় না। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই মামলা দায়ের করেছি।

মামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের আমার প্রতি অসন্তুষ্ট করতে মামলাটি দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।

মুশফিউল আলম আজাদ আরও বলেন, যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তা উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রকল্প নয়। এটা একটা বিশেষ প্রকল্প। সবকিছু ইউএনও দেখে থাকেন। আমি শুধু কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অথচ মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়নি। আমার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এ মামলা দায়ের হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা পড়া কীসের লক্ষণ?

ভারত নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি

‘বাংলাদেশ-চীনের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে’

রাত ১টার মধ্যে ঝড়-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে

চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা

৭ অক্টোবর বছরের প্রথম সুপারমুন, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে কি?

বিপিএল থেকে সরে দাঁড়াতে পারে ফরচুন বরিশাল

ইরানের হামলার ভয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে চান ইসরায়েলি রাজনীতিক

ইয়ারফোন কানে না দিলে কাজে মন বসে না? অজান্তেই যে ক্ষতি করছেন

১০

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে পাকিস্তানের বার্তা

১১

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য চমক রেখে ভারতীয় দল ঘোষণা

১২

যশোরে এক দিনে কাঁচা মরিচ কেজিতে বাড়ল ১৭০ টাকা

১৩

গাজায় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের আহ্বানের পরই বোমা ফেলল ইসরায়েল

১৪

সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ

১৫

নির্বাচন বিলম্বিত হলে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি হবে: সালাহউদ্দিন

১৬

ক্যারিবীয়দের উড়িয়ে তিন দিনেই ভারতের টেস্ট জয়

১৭

ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মিলল ১২ কোটি টাকার সোনা-রুপার মুদ্রা

১৮

বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৯

নুরের দেশে আসার সময় জানালেন রাশেদ

২০
X