ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কর্মস্থল চট্টগ্রাম থেকে নবীনগরে ঈদে ফেরা যাত্রীদের এবারও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রান্তিক পরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদের আগে ও পরে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হয়।
একইসঙ্গে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহন করায় একদিকে বেড়েছে ঝুঁকি, অন্যদিকে মারাত্মক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে কর্মস্থল থেকে নারীর টানে বাড়ি ফিরছেন এই অঞ্চলের কয়েক হাজার যাত্রী।
ঈদের আগে কয়েক দিন যাত্রীদের তেমন ভিড় না থাকলেও তিনদিন ধরে ভিড় বাড়তে থাকে। রোববার (১৬ জুন) থেকে তা আরও বেড়েছে।
ঈদযাত্রায় নবীনগরে প্রান্তিক পরিবহনে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। যদিও এবার ঈদযাত্রায় এখনো যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও বাড়তি ভাড়া আদায়, ইচ্ছামতো টিকিটের দাম হাঁকাসহ অতিরিক্ত গরমের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কপথের যাত্রীদের।
ভুক্তভোগী মাহমুদুল হাসান (মুজাহিদ) বলেন, চট্টগ্রাম টু নবীনগর রোডে প্রান্তিক পরিবহন যাত্রীদের হয়রানি নিত্যদিনের ঘটনা। ঈদ উপলক্ষে তারা দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। এ ছাড়াও সিটের বাইরে প্রচুর যাত্রী নিচ্ছে। এমনকি বাসের গিয়ারের দুই পাশে দুই পা দিয়ে বসিয়ে যাত্রী নিচ্ছে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে চালক ও হেলপার আমাকে মারতে আসে।
প্রান্তিক পরিবহনের বাস যাত্রী বাবু, দেলোয়ার কালবেলাকে বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় যাত্রীদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও নবীনগর থেকে চট্টগ্রামে প্রান্তিক পরিবহনে যে টিকিট ৪০০ টাকা ছিল, সে টিকিট এখন ৭০০ টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে। প্রান্তিক পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে, রোজার ঈদের সময় ওরা আমার কাছ থেকে ৭ টিকিটের মূল্য ৪৯০০ টাকা নিয়েছে।
প্রান্তিক কাউন্টার (চট্টগ্রাম) কদমতলীতে একাধিক নম্বরে কল করলে সব কয়টি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত বাড়ার বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি এমনটা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন