সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে পুরো সপ্তাহজুড়ে। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে গরুর হাটগুলোতে। বৃষ্টির পানিতে অনেক হাটেই হাঁটু পানি জমে যায়। কোথাও জমেছে কাদা। ফলে পশুর হাটগুলোতে বেচাকেনা করতে যাওয়া মানুষ পড়েছেন বেশ ভোগান্তিতে। বৃষ্টির কারণে হঠাৎ ক্রেতা কমে যাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিলেটে আসা ব্যাপারীর।
রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকে যথারীতি সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে কোরবানির পশুর হাটগুলোর কাদামাখা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের। অনেক জায়গাতেই ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় পশুগুলোকে ভিজতে দেখা গেছে।
টিলাগড় পয়েন্টে বসা পশুর হাটে সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থেকে আসা খামারি সোলায়মান মুন্সি বলেন, আশা করছি, আজ সন্ধ্যা ও রাতে দাম আরেকটু বাড়বে। এ পর্যন্ত ১৩টি গরু বিক্রি করেছি সামান্য লাভে। তিনি বলেন, সারা বছর গরুর পেছনে এত সময় ও অর্থ খরচ করেছি, কিছু বেশি টাকা না পেলে সারাবছর কীভাবে চলব, বলুন। বৃষ্টির জন্য ক্রেতাদের সংখ্যা কম হলেও, আশা করছি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত বেচাবিক্রি ভালোই হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত মহানগরের ৮টি স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। মহানগরের টুকেরবাজার (তেমুখী পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা), মাছিমপুর কয়েদির মাঠের খালি জায়গা, মেজরটিলা বাজার-সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহপরাণ পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহী ঈদগাহস্থ খেলার মাঠের পেছনের অংশ, সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন এস ফল্ট মাঠ ও দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন ট্রাক টার্মিনালে কুরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে এবার কোরবানির ঈদে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১ পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে বিভাগজুড়ে জবাইয়ের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু।
এ দিকে নগরীর নির্ধারিত পশুর হাট থাকলেও নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ঘাটে পশু বিক্রি হচ্ছে অবাধে। এতে তৈরি হচ্ছে যানজট। আর ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। অবৈধ পশুর হাট ও রাস্তাঘাটে পশু দাঁড় করিয়ে বেচা-বিক্র বন্ধে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তৎপর রয়েছে সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষও।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নগরীতে নির্ধারিত পশুর হাট ব্যতীত অবৈধ হাট কেউ বসালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের টিমগুলো কাজ করছে।
মন্তব্য করুন