সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রিমান্ড বাতিল হওয়া সেই শিক্ষার্থীর জামিন হয়নি 

আদালতে নেওয়া হয় হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে। ছবি : সংগৃহীত
আদালতে নেওয়া হয় হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজকে। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সেই শিক্ষার্থী হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপীর আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৮ জুলাই ওই আদালত তাকে শিশু হিসেবে ঘোষণা এবং এ মামলায় দেওয়া রিমান্ড আদেশ বাতিল করেন। ওই শিশুর আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন অনুসারে, হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজের জন্ম ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিল। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে সে। সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাতুয়াইল হাসপাতালের বিপরীত পাশে এক পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখার মামলায় ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৬ নম্বর আসামি এ শিক্ষার্থী।

পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে লাশ গুম ও এই কাজে সহায়তাসহ তার মোটরসাইকেল চুরির মামলায় আসামি হিসেবে গত ২৭ জুলাই ঢাকার নিম্ন আদালতে হাজির করা হয় ফাইয়াজকে। এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা অন্য আসামিদের সঙ্গে ফাইয়াজকেও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত প্রত্যেক আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে ২৮ জুলাই আদালত তাকে শিশু হিসেবে ঘোষণা করেন এবং গাজীপুরে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮), পরিবারসহ মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতালের বিপরীত পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলযোগে বাসা থেকে বের হন। যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই সাড়ে ৯ দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে উল্লিখিত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেকে প্ররোচনা ও নির্দেশনায় পরস্পর যোগসাজশে পুলিশ পরিচয় নিশ্চিত হয়ে দেশের নাশকতা সৃষ্টির অংশ হিসেবে তাকে আটক করে। এরপর তাকে ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে।

আরও বলা হয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাস্তায় পড়ে গেলে আসামিরাসহ অন্য আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের নাক-কান, মুখ-মণ্ডল, গলা ও হাত, বুক, পেট, পিত্র, ডান পায়ের হাঁটুর নিচে গোড়ালির নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়িভাবে আঘাত করে ঘটনাস্থলে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রিজের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মৃতদেহ নিয়ে উল্লিখিত আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে এবং মৃতদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় রাজধানী যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান এ মামলাটি দায়ের করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে আ.লীগের মন্ত্রীর ভাইকে সরানো হলো মুদ্রণ শিল্প সমিতি থেকে

আগামী ২ দিনের আবহাওয়া নিয়ে নতুন বার্তা

চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ

নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : আমীর খসরু

ফিল্মি কায়দায় প্রবাসীকে অপহরণ, পুলিশের অভিযানে উদ্ধার

ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে ইংরেজিতে দক্ষ হবেন যেভাবে 

অধ্যাপক ব্রজ গোপাল বৈষ্ণবের পরলোকগমন

নৌবাহিনীর দায়িত্বে চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে গড় কনটেইনার হ্যান্ডলিং

তপশিলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত

১০

সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ বলে প্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম

১১

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো : বিশ্বব্যাংক

১২

শাহবাগের ‘প্রজন্ম চত্বর’ স্থাপনাটি ভেঙে দিয়েছে সিটি করপোরেশন

১৩

বিএনপির দুপক্ষে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

১৪

গণঅভ্যুত্থানের পোস্টার ও পোস্টকার্ড প্রকাশ 

১৫

দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

১৬

চাঁদা না দিলে পদকপ্রাপ্ত চা চাষিকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

১৭

নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, খুনিদের ফাঁসির দাবি

১৮

৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি : তিন আসামি কারাগারে 

১৯

স্ত্রী বারবার প্রেমিকের সঙ্গে পালান, তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর

২০
X