জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাউর রহমান বুধবার (৩০ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সূত্রাপুর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর অনুপম দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদুল হক আসামি ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।
প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবা প্রণব মজুমদার ৩০ এপ্রিল সূত্রাপুর থানায় লালবাগ থানাধীন এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ইয়াছিন মজুমদারকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, অথৈ এবং মো. ইয়াছিন মজুমদারের বাড়ি পাশাপাশি। তারা একই স্কুলে পড়াশোনা করতো। সেখান থেকেই ইয়াছিন অথৈকে উত্ত্যক্ত করতো। অথৈ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সূত্রাপুর এলাকায় বসবাস শুরু করে। ইয়াছিনও ঢাকায় চলে আসে এবং লালবাগ জমিদারী ভোজ রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়। পূর্বের ন্যায় সে অথৈকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে অথৈকে। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করে ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয়। মানসিক নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে অথৈ সূত্রাপুর থানাধীন লক্ষ্মীবাজারের নন্দলাল লেনস্থ রুমে চলে যায়। ইয়াছিন রুমের সামনে গিয়ে অন্যদের অথৈকে ডাকতে বলে। পরে মেসের মালিকের স্ত্রী মোসাম্মাৎ জোৎস্না বেগম উপস্থিতিতে ইয়াছিন রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে অথৈয়ের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অথৈকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন