বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি আমিরুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান।
এর আগে, আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে বলা হয়, আমিরুল আলম মিলন মামলার যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় ৭০৩নং আসামি। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে বিরোধী পক্ষকে দমনে বিগত সরকারকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। মামলার পর তিনি গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক ছিলেন।
তিনি আবেদনে বলেন, গ্রেপ্তারের পর মামলার ঘটনার বিষয়ে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চালাক প্রকৃতির লোক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে আড়াল করে মামলার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যা যাচাই-বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অবস্থায় তাকে কারাগারে আটক রাখার প্রার্থনা করা হচ্ছে।
শুনানিতে মিলনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী ওবাইদুল ইসলাম। তবে মামলার মূল নথি না থাকায় জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়নি এদিন। নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে শুনানি হবে জানিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পল্টন মডেল থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর রুকনুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন। সাবেক এই এমপিকে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে সোমবার (৫ মে) রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হলে যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
মন্তব্য করুন