কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুগান্তর সম্পাদকের মানহানির মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পুরোনো ছবি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পুরোনো ছবি

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদসহ তিনজনের নামে মানহানির অভিযোগে করা মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আসামিরা হলেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদ (আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা)।

রোববার (২৫ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার এ আদেশ দেন।

বাসসের এমডি মাহবুব মোর্শেদ এ মামলায় জামিনে ছিলেন। এদিন তিনি স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে আদালত পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দেন। বাদী আব্দুল হাই শিকদারের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৩ মার্চ আদালতে এ মামলা করেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। আর সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’

আসামি খাইরুল আলমও গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য!’

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন। তার পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’

এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা খাইরুল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কর্মী নিয়োগে সৌদির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

এক মাস না যেতেই ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ

ত্বকে যেসব পরিবর্তন দেখলে সতর্ক হওয়া জরুরি, হতে পারে হার্টের সমস্যা!

রোহিঙ্গা যুবকের যাবজ্জীবন

নিজ বাড়িতে বৃদ্ধার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

৪ হাজার এএসআই নিয়োগে স্বরাষ্ট্রকে চিঠি, আছে অনেক শর্ত

‘সি’ ক্যাটাগরি থেকে বিসিবির পরিচালক পাইলট

কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব প্রথমবারের মতো চুক্তি স্বাক্ষর

সরকারি অনুষ্ঠানে মুজিব শতবর্ষের লোগো সংবলিত লিফলেট বিতরণ

ইসলামী ব্যাংকে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী নিয়োগের দাবি

১০

ফুটবলের সঙ্গে আবেগ-ভালোবাসা মিশে আছে : বাসস চেয়ারম্যান

১১

আন্দোলনের মুখে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে নতুন প্রস্তাব

১২

পবিত্র কোরআন অবমাননার বিচারের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৩

ব্লাড সুগার বাড়ানো থেকে রক্ষা পেতে বাদ দিন সকালের ৪ খাবার

১৪

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে

১৫

শেখ হাসিনার বিষয়ে দুই দেশকে কী করতে হবে, জানালেন বিক্রম মিশ্রি

১৬

দাফনের ১৯ দিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উত্তোলন

১৭

ভালোবাসার শিখরে থেকেই বিদায় নিতে চান তাহসান

১৮

ছাত্রদলে যোগ দিলেন বৈষম্যবিরোধীর পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী

১৯

বিচ্ছেদের পথে থাকে যেসব ছোট ছোট কারণ

২০
X